ওয়েব ডেস্ক: আত্মঘাতী হামলা। নাকি হত্যালীলা চালিয়ে পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার প্ল্যান ছিল আজমল কসাভদের? ডেভিড কোলম্যান হেডলির সাক্ষ্য শোনার পর এখন এমন সন্দেহ উঁকি দিচ্ছে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মনে। শুনানি চলাকালীন হেডলিকে ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাসের ছবি দেখানো হয়। হেডলি জানায়, সে ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাসের ভিডিওগ্রাফি করে টার্গেট হিসেবে নয়, জঙ্গিদের পালানোর পথ হিসেবে। যদিও, মার্কিন আদালতে হেডলি যে বয়ান দিয়েছিল  তার সঙ্গে এই বয়ানের মিল নেই। সেখানে হেডলি বলে, জঙ্গিরা সমুদ্রপথে ভারতে এসে আমৃত্যু লড়াই চালাবে। লস্করের তরফে তাকে নাকি এমনটাই জানানো হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে ফের শুরু হল ডেভিড কোলম্যান হেডলির সাক্ষ্যগ্রহণ। শিকাগোর জেলে বন্দি মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার ষড়যন্ত্রকারী। সেখান থেকে টেলি কনফারেন্সে সাক্ষ্য দিচ্ছে হেডলি। মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলা চালানো হয় ISI ও লস্কর এ তৈবার যৌথ উদ্যোগে। সোম ও মঙ্গলবারের সাক্ষ্যে তার বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে হেডলি। আজ হেডলি নতুন কী বলে তার দিকে নজর রয়েছে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।


এখনও নিরাপদ নয় লস্করের নিশানায় থাকা মুম্বইয়ের একাধিক জায়গা। হেডলির বয়ানে প্রকাশ পেল এমনই তথ্য। হেডলির চিহ্নিত করা জায়গাগুলির মধ্যে সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির, ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার, নেভাল এয়ারবেস ও মহারাষ্ট্র পুলিসের সদর দফতরে হামলা চালায়নি কসাভরা। এর মধ্যে নেভাল এয়ারবেস ও ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার নিরাপত্তার চাদরে মোড়া। কিন্তু, মহারাষ্ট্র পুলিসের সদর দফতর এবং সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে নিরাপত্তা নামমাত্র। রাজ্য পুলিসের কর্মীরাই সেখানে নিরাপত্তায় নিযুক্ত। যদিও সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির যে জঙ্গিদের অন্যতম প্রধান টার্গেট ছিল তা হেডলির বয়ানে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে।