টাক ঢাকতে গিয়ে মৃত্যু!
মাদ্রাজ মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারির ছাত্র, ২২ বছরের সন্তোষ, টাক ঢাকার জন্য `হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট` করতে গিয়েছিলেন গত ১৭ই মে, আর তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় `সন্দেহজনক মৃত্যু`র মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
ওয়েব ডেস্ক: মাদ্রাজ মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারির ছাত্র, ২২ বছরের সন্তোষ, টাক ঢাকার জন্য 'হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট' করতে গিয়েছিলেন গত ১৭ই মে, আর তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় 'সন্দেহজনক মৃত্যু'র মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
চেন্নাইয়ের বাসিন্দা সন্তোষের পরিবারের তরফ থেকে জানা গেছে, মাথায় কম চুল থাকার জন্য সন্তোষকে নিয়ে বন্ধুবান্ধবরা প্রায়ই ঠাট্টা তামাশা করত। আর তাই সন্তোষ 'অ্যাডভান্সড রোবোটিক হোয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টার' নামক একটি কেন্দ্রে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চুল বসাতে ভর্তি হন। অস্ত্রোপচারের পরই প্রবল জ্বর হয় তাঁর এবং দু'দিনের মাথায় তিনি মারা যান।
পরিবারের তরফে জানা যাচ্ছে, ৭৩ হাজার টাকার বিনিময়ে ১০ ঘন্টার এই অস্ত্রোপচারে সন্তোষের মাথায় ১ হাজার ২০০টি চুল বসানো হয়। সন্তোষের মা পি জোসেবিন বলেন, "আপারেশনের সময়ই ছেলের জ্ঞান ফিরে এসেছিল। তারপরেই ওর ধুম জ্বর আসে। ছেলেকে চোখের সামনে কষ্ট পেতে দেখেছি। কিন্তু কিছুই করতে পারিনি।" অবস্থার অবনতি হওয়ায় সন্তোষকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলে সেখানেই তিনি মারা যান।
তাঁর বাবার কথাতে ওই হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টারটির প্রতি ক্ষোভ ঝড়ে পরেছে। তিনি বলেছেন, "এঁদের কাছে মানুষের প্রাণের থেকে টাকার দাম বেশী।" পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে কেন্দ্রটিতে সন্তোষ অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন সেটি একটি সাঁলো এবং কেন্দ্রটির লাইসেন্সের মেয়াদও কয়েক মাস আগেই শেষ হয়ে গেছে। সেখানে নাকি চিকিত্সার ন্যূনতম পরিকাঠামোও নেই, নেই কোনও অপারেশন থিয়েটার। জানা যাচ্ছে পুলিশ কেন্দ্রটিতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।
হরিপ্রসাদ কস্তুরী এবং বিণীত সূর্যকুমার চিকিত্সক হিসাবে এই অস্ত্রোপচার করেছিলেন। তাঁরা বর্তমানে ফেরার। রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিল তাঁদের সাসপেন্ড করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে দরকার পরলে সমাধি থেকে তুলে সন্তোষের দেহের ময়না তদন্ত করা হতে পারে।
তবে, একজন ডাক্তারির ছাত্র হয়ে সন্তোষ কী করে এই রকম একটি কেন্দ্রে নিজের চিকিত্সা করাবার সিন্ধান্ত নিলেন তাও অবাক করছে তাঁর স্বজনদের।