নিজস্ব প্রতিবেদন: ‘মেট্রো ম্যান’ শ্রীধরন প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন যাতে মহিলাদের জন্য দিল্লি মেট্রো ফ্রি করা না হোক। তাঁর যুক্তি, মেট্রো এমনিতেই ঋণে ডুবে, তার উপর এই সিদ্ধান্ত দেউলিয়ায় পরিণত করবে দিল্লি মেট্রোকে। আজ দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া জানান,  শ্রীধরনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি ইতিমধ্যেই দিল্লি মেট্রো ক্ষতিতে চলছে। তাকে তুলে ধরতে এই প্রকল্প ইতিবাচক কাজ করবে। অনেক বেশি মানুষ মেট্রোয় চড়লে ভাড়া কমার আশাও শোনান দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


আপ নেতা সিসোদিয়া বলেন, প্রতিদিন ৪০ লক্ষ যাত্রী পরিবহণে সক্ষম দিল্লি মেট্রো। এই মুহূর্তে ২৫ লক্ষ যাত্রী মেট্রো চড়েন। মহিলা যাত্রীদের জন্য দিল্লি সরকার কাজ করতে পারলে, মেট্রো কর্তৃপক্ষের খুশি হওয়া উচিত। দিল্লি মেট্রোয় মহিলাদের জন্য ফ্রি করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে


শ্রীধরন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আর্জি জানান, দিল্লি সরকারের এই প্রস্তাব কোনওভাবে গৃহীত যাতে না হয়। তাঁর কথায়, ২০০২ সালে প্রথম মেট্রো চালু হয় দিল্লিতে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল প্রত্যেকেই টিকিট কেটে মেট্রো চড়বে। এই সিদ্ধান্তে খোদ সিলমোহর দিয়েছিলেন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। তিনিও টিকিট কেটে মেট্রোয় চড়েছিলেন বলে জানান শ্রীধরন।


আরও পড়ুন- অমরনাথ যাত্রীদের দেওয়া হচ্ছে বিশেষ কার্ড, যাত্রাপথের প্রতিটি পদক্ষেপ থাকবে নিরাপত্তা বাহিনীর নজরে


শ্রীধরন আরও জানান, দিল্লির মেট্রোর মোট খরচের ৬৩ শতাংশ এসেছে জাপান থেকে। এবং ওই টাকা ফেরত্ দেওয়ায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দিল্লি মেট্রো। এক সেকশনে ফ্রি ঘোষণা করা হলে পরবর্তীকালে পড়ুয়া, প্রবীণ, ক্যানসার আক্রান্ত রোগী এমনকি বিধায়ক ও সাংসদরাও দাবি জানাবেন। দিল্লি সরকারকে শ্রীধরন পরামর্শ দেন, মহিলাদের জন্য বিনা টিকিটে মেট্রো চড়ার সিদ্ধান্তের বদলে দিল্লি সরকারের কোষাগার থেকে সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়ে দিক।


উল্লেখ্য, ১৯৯৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দিল্লি মেট্রোর ডিরেক্টর পদে ছিলেন তিনি। তাঁকে দিল্লির মেট্রোর ‘রূপকার’ বলা হয় শ্রীধরনকে।ন ‘মেট্রো ম্যান’ শ্রীধরন। তিনি জানান, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের এই সিদ্ধান্ত দিল্লি মেট্রোকে ‘দেউলিয়া’ করবে বলে দাবি করেন ওই সংস্থার প্রাক্তন প্রধান শ্রীধরন। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও লেখেন তিনি।