নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রয়াত দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। জানা যাচ্ছে, বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। শুক্রবার, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দিল্লির একটি বেসরকারি হাসাপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ২০১২ সাল থেকে হার্ট সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। বছর দুয়েক আগে বড়সড় অস্ত্রোপচারও হয় তাঁর। আজ বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ মৃত্যুর খবর জানায় শীলা দীক্ষিতের পরিবার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বর্তমানে দিল্লি কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন বর্ষীয়ান এই নেত্রী। দিল্লির সবচেয়ে বেশি সময়ের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর নজির রয়েছে। ১৯৯৮, ২০০৩ এবং ২০০৮ সাল পরপর তিন বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হন শীলা দীক্ষিত। এরপর ২০১৩ সালে নির্বাচনে আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবালের কাছে পরাজিত হন তিনি। যদিও সেখানেই তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার থেমে থাকেনি। বর্ষীয়ান এই নেত্রী ২০১৪ সালে কেরলের গর্ভনর করা হন। ওই বছরে মে-মাসে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে মোদী সরকার। আর অগস্টেই গভর্নর পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। ২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীও করে। পরবর্তীকালে সেই পদ থেকে তাঁর নাম প্রত্যাহার করেন শীলা দীক্ষিত।


আরও পড়ুন- আকাশপথ আটকে ভারতকে চাপে ফেলতে গিয়ে ৩৪৪ কোটি টাকার লোকসানের মুখে পাকিস্তান


১৯৩৮ সালে জন্ম অবিভক্ত ভারতের পঞ্জাবে। পড়াশোনা দিল্লির কনভেন্ট অব জেসাস অ্যান্ড ম্যারি স্কুলে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতক। তাঁর মৃত্যুতে টুইটে শোকবার্তা জানান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাষ্ট্রপতি তাঁর শোকবার্তায় জানান, শীলা দীক্ষিতের সময় দিল্লি অভূতপূর্ব পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গেছে, যা চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপচারিতার একটি ছবি দিয়ে জানান, দিল্লির উন্নয়নে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর শোকবার্তায় জানান, উনি সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী থাকাকালীন একসঙ্গে কাজ করেছি। দারুণ সম্পর্ক ছিল তাঁর সঙ্গে। ওনার অভাব অনুভব করবো।