নিজস্ব প্রতিবেদন : দিল্লির দূষণের পেছনে নিজেদের দায় এড়িয়ে যেতে পারে না রাজ্য সরকারগুলি। নাড়া পোড়ানো বন্ধ করে বায়ু দূষণ রোধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা সরকার। সোমবার দিল্লির প্রবল বায়ু দূষণের জন্য হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের সরকারকে তুলোধনা করল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্র বলেন, "প্রতি বছর দমবন্ধ অবস্থা হচ্ছে দিল্লির। আমরা সে বিষয়ে কিছুই করতে পারছি না।" এর পরেই তিনি সরাসরি দুই রাজ্যের সরকারকে এর জন্য দায়ী করেন। তিনি বলেন, "রাজ্যে যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁরা কোনওরকম পদক্ষেপ করছেন না। তাঁরা কেবলই একে অপরকে দোষারোপ করে দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করছে।" আরও এক ধাপ এগিয়ে তিনি বলেন, "সবাই শুধুই মনভোলানো চমক ও নির্বাচন নিয়ে মেতে আছে।" 



বছরের এই সময়ে ফসল তোলার শেষে হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের কৃষিজমির শুকনো গাছ জ্বালিয়ে দেন কৃষকরা। এভাবেই ক্ষেত সাফ করেন তাঁরা। আর সেখানেই যাবতীয় সমস্যার সূত্র। হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি থেকে বাতাসে মিশছে ধোঁয়া। সেই ধোঁয়াই এসে কার্যত কেন্দ্রীভূত হচ্ছে দিল্লির বাতাসে। এমনিতেই বিপুল জনসংখ্যা, যানবাহনের ফলে রাজধানীতে বায়ু দূষণের সমস্যা থাকেই। গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়েছে নাড়া পোড়ার ধোঁয়া। ফলে মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা। বিপদসীমার প্রায় ১০ গুণ বেশি ধোঁয়া দিল্লির বাতাসে। এর ফলে তাত্ক্ষণিক সমস্যা যেমন, শ্বাসকষ্ট, চোখ ও ত্বকের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন দিল্লিবাসী। অন্যদিকে, মানবদেহে এই বায়ুদূষণের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবও মারাত্মক। 


আরও পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীরে ফের গ্রেনেড হামলায় নিহত ১, আহত ২২