নিজস্ব প্রতিবেদন: আরও একটা রাজ্য। বাকি আছে দুই। দিল্লিতে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থাকে নির্বাচনী কৌশলীর দায়িত্ব দিয়েছিল আম আদমি পার্টি। অন্ধ্রপ্রদেশের পর দিল্লিতেও সেই দায়িত্বে সফল প্রশান্ত কিশোর। এখন তাঁর হাতে পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ু। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোর। তামিলনাড়ুতে ডিএমকে-কে ক্ষমতায় আনার লক্ষ্য নিয়েছেন বিহারিবাবু। দিল্লিতে কেজরীবালের ভাবমূর্তি বদলের কারিগরই হলেন প্রশান্ত। কথায় কথায় কেন্দ্র তথা মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা কেজরীবালকে নয়া ইমেজ দিয়েছেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৫ সালে দিল্লিতে দ্বিতীয়বার মসনদে বসেছিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। ৭০ আসনের মধ্যে ৬৭টিই পেয়েছিল তাঁর দল। কিন্তু তারপরই ৩টি পুরসভা ও লোকসভা ভোটে ভরাডুবি হয় আপের। গত লোকসভা ভোটে দিল্লিতে সাতে ৭ করেছিল বিজেপি। সেখান থেকে কেজরীবালের দলকে টেনে তুললেন প্রশান্ত কিশোর। গোটার প্রচারপর্বে কেজরীবালকে সামনে রেখেই ভোট গিয়েছে আম আদমি পার্টি। 'আম আদমি' কেজরীবালই হয়ে উঠেছেন প্রচারমুখ। কেজরীবালের ব্র্যান্ডিংয়ে ঠিক কী পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রশান্ত? 


সূত্রের খবর, প্রশান্ত কিশোর কেজরীবালকে পরামর্শ দেন, সব ব্যাপারে সংঘাতে যাওয়ার মানসিকতা ছাড়তে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে টার্গেট করা চলবে না। লোকসভা ভোটে যাঁরা মোদীকে ভোট দিয়েছেন, বিধানসভায় তাঁদের একাংশের ভোট আসতে পারে আপে। তাই তাঁদের কোনওভাবে রুষ্ট করলে চলবে না। আপের প্রচারেও তা দেখা গিয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সুর চড়াননি অরবিন্দ কেজরীবাল।     


এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর মতোই 'বিকাশপুরুষ' হিসেবে কেজরীবালকে তুলে ধরেছে আপ। প্রশান্ত উপদেশ দিয়েছিলেন, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে। সিসিটিভি, বিনামূল্যে বাসে সওয়ারির মতো পদক্ষেপ করেছে আপ সরকার। ভোটের প্রচারে বিজেপির হিন্দুত্বের রাজনীতির পাল্টা উন্নয়ন নিয়েই প্রচার চালিয়ে গিয়েছে আম আদমি পার্টি। তার ফল মিলেছে হাতেনাতে। ৬২টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছেন অরবিন্দ কেজরীবাল। 


আরও পড়ুন- ভারতের আত্মার জয়, সিএএ-বিক্ষোভের আবহে দিল্লির ভোটের ফলে মত প্রশান্তের