Madhyapradesh: বুরারিকাণ্ডের ছায়া এবার মধ্যপ্রদেশে! বাড়ি থেকে উদ্ধার ৩ শিশু-সহ ৫ জনের ঝুলন্ত দেহ...
Madhyapradesh Incident: বুরারি কাণ্ডের ছায়া এবার মধ্যপ্রদেশে। জানা গিয়েছে, এক বাড়ির ৫জনের মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাটিতে মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্বামী, স্ত্রী ও তিন সন্তানের মৃতদেহ পাওয়া যায় বলে জানা গিয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একই পরিবারে ১১ জন সদস্য আত্মঘাতী। দিল্লির বুরারিকাণ্ডের কথা কম বেশি প্রায় সবারই জানা। আজও সেই ঘটনার কথা ভাবলে গা শিউড়ে ওঠে। সেখানে পুলিস জানিয়েছিলেন, কুসংস্কারচ্ছন্ন হয়েই এমন নির্মম সিদ্ধান্তের পথে হেঁটেছিলেন তাঁরা।
সেই কাণ্ডের ছায়া এবার মধ্যপ্রদেশে। জানা গিয়েছে, এক বাড়ির ৫ জনের মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাটিতে মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্বামী, স্ত্রী ও তিন সন্তানের মৃতদেহ পাওয়া যায় বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই সেখানেই যান জেলা এসপি রাজেশ ব্যাস। এটা কি হত্যা নাকি গণ আত্মহত্যা? এফএসএল ও ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পরই বিষয়টি জানা যাবে।
ঘটনাটি ঘটে, আলিরাজপুর জেলার সোন্দওয়া থানার রাওয়াদি গ্রামে। সূত্রের খবর, মৃতদের নাম রাকেশ (২৭) ও ললিতা (২৫)। এঁরা সম্পর্কে দুজন স্বামী-স্ত্রী। তাঁদের ৩ সন্তান, মেয়ে লক্ষ্মী (৯), ছেলে প্রকাশ (৭) এবং অক্ষয়(৫)। রবিবার রাতেই এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে। এরপর এদিন সকালে মৃত ব্যক্তি রাকেশের এক কাকা বিষয়টি লক্ষ্য করেন। ঘরের ভেতর ঝুলন্ত অবস্থায় চার জনের দেহ পাওয়া যায়। অন্যদিকে, বিছানায় এক শিশুর দেহ শোয়ানো ছিল।
রাকেশের কাকা প্রথমে পুলিসকে খবর দেন। যদিও নিহত পরিবারের লোকেরা এই ঘটনাকে আত্মহত্যা মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, প্রত্যেককে খুন করা হয়েছে। অন্যদিকে, পুলিসের প্রাথমিক ধারণা যে, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। এক্ষেত্রে পরিবারের কোনও সদস্য বাকিদের খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন।
আরও পড়ুন:Bharatiya Nyaya Sanhita: চালু হল ৩ ফৌজদারি আইন, জেনে নিন IPC-তে নতুন কী বদল এল
প্রসঙ্গত, দিল্লির বুরারি কাণ্ডটি ঘটে ২০১৮ সালে। যেখানে বাড়ির ১১ জন সদস্য কুসংস্কারচ্ছন্ন হয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। যেখানে বাড়ির সবচেয়ে বয়স্ক সদস্য ঠাকুমাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল। ময়নাতদন্তে জানা যায়, তাঁদের মধ্যে অন্তত ছ'জনের মৃ্ত্যু হয়েছে গলায় দড়ি দেওয়ার কারণে। ১০টি মৃতদেহ ঝুলছিল ছাদ থেক। চোখ, মুখ, হাত বাঁধা অবস্থায় মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে পুলিস।
তদন্তকারীরা ওই বাড়ি থেকে ১১টি ডায়েরিও উদ্ধার করেন। সেখানেই জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যায় গোটা ঘটনা। নারায়ণী দেবীর ছোট ছেলে ললিতের উপর নাকি ভর করেছিল তাঁর মৃত বাবা ভোপাল সিংয়ের আত্মা। ললিতের ডায়েরি থেকে জানা যায়, বাবা ভোপাল সিংয়ের নির্দেশে ভাল জীবনযাপনের আশায় মৃত্যুর পথ বেছে নেন পরিবারের সকলকে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)