জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেত্রী শেহলা রশিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি দিলেন দিল্লির গভর্নর ভি কে সাক্সেনা। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আপত্তিজনক ট্যুইট করায় তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই পুলিসে অভিযোগ হয়েছে। মঙ্গলবার দিল্লির গভর্নর অফিস সূত্রে খবর, শেহলার দুটি টুইট মানুষের মধ্যে সেনা সম্পর্কে বিদ্বেষ তৈরি করেছে। তাই শেহলার বিরুদ্ধে ১৯৭৩ সালের সিআরপিসির ১৯৬ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হোক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ভয়ংকর! হাত কেটে নিয়ে পালাল মুখোশধারীর দল... 


২০১৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর শেহলার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল। আইনজীবী অলোক শ্রীবাস্তবের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই মামলা করে পুলিস। শেহলার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, '২০১৯ সালের ১৮ আগস্ট কাশ্মীরের বাসিন্দা শেহলা রশিদ ভারতীয় সেনা সম্পর্কে দুটি ট্যুইট করেছিলেন। সেখানে লেখা হয়েছিল, কাশ্মীরে সেনাবাহিনী রাতবিরেতে সাধারণ মানুষের ঘরে ঢুতে ভাঙচুর চালায়। ঘরে মজুত জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয়। বাড়ির ছেলেদের তুলে আনে।'  অভিযোগ অনুযায়ী, অন্য একটি টুইটে শেহলা লিখেছেন, 'সোপিয়ানে এলাকায় ৪ যুবককে সেনা ক্যাম্পে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে অত্যাচার করা হয়। একটি মাইক্রোফোন তাদের কাছে রাখা হয়েছিল যাতে ওই চারজনের আর্তনাদ গোটা এলাকায় শোনা যায়।' 


শেহলার ওই দুই ট্যুইটের পর একটি বিবৃতি দিয়ে সেনা জানায় শেহলার ওইসব বক্তব্যের কোনবও ভিত্তি নেই। ওইসব উদ্দেশ্য প্রণোদিত ট্যুইট করা হয়েছে মানুষকে ক্ষেপিয়ে দেওয়ার জন্য। ওই বিবৃতির পরই আইনজীবী অলোক শ্রীবাস্তব পুলিসে একটি অভিযোগ করেন শেহলার বিরুদ্ধে।



ওই দুই ট্যুইট পর্যালোচনা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতর জানায়, ওই দুই ট্যুইটে সেনার বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ আনা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। প্রতিটি ট্যুইটের জন্যই ফৌজদারি ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)