জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল: গুজরাত হিংসার উপরে তৈরি তথ্যচিত্র নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত। সেই মামলায় বিবিসিকে তলব করল দিল্লি হাইকোর্ট। ওই তথ্যচিত্র সম্প্রচারিত হওয়ার পর পরই সেটির দ্বিতীয় অংশের সম্প্রচার এদেশে নিষিদ্ধ করা হয়। পাশাপাশি গুজরাতের এনজিও জাস্টিস ফর ট্রায়াল দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করে। দাবি করা হয়, ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছ বিবিসির ডক্যুমেন্টরি ইন্ডিয়া: দ্যা মোদী কোশ্চেন। সেই মামলায় এবার বিবিসিকে সমন পাঠাল দিল্লির হাইকোর্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-শহিদদের লাশের উপরে দাঁড়িয়ে লোকসভা ভোটে লড়েছিল বিজেপি, বিস্ফোরক কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল 


ওই তথ্যচিত্র সম্প্রচারের পরই এনিয়ে সরব হয় কেন্দ্র। সরকারের তরফে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, প্রোপাগান্ডা করার জন্যই এই তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে স্বচ্ছতা, উপনিবেশিক মনোভাব ও একতরফা মনোভাব স্পষ্ট। এর পেছনে উদ্দেশ্য সেটাই বোঝা যাচ্ছে না। এই তথ্যচিত্রটি নিয়ে বড় করে বলার কিছু নেই।


তথ্যচিত্রটি সম্প্রচার হওয়ার পর তথ্যচিত্রটি ইউটিউব ও ট্যুইটার থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। এনিয়ে সেইসময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের উপদেষ্টা কাঞ্চন গুপ্ত বলেন, ইউটিউব ও ট্যুইটারে ওই তথ্যচিত্র বা তার ক্লিপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি ট্যুইটার করে বলা হয়েছে ওই তথ্যচিত্র সম্পর্কিত ট্যুইটগুলি ডিলিট করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার ওই দুই প্লাটফর্ম তার মেনে নিয়েছে।


তথ্যচিত্রটি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষিদ্ধ হওয়ার পর কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সাংবাদিক এন রাম ও বিশিষ্ট আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। অন্যদিকে আরও একটি মামলা করেন আইনজীবী এম এল শর্মা। ওই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি এম এম সুন্দরেশের বেঞ্চের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় তথ্যচিত্রটি নিষিদ্ধ করার আসল কপি আদালতে জমা দিতে হবে।


এদিকে, বিবিসির ওি তথ্যচিত্রের বিরুদ্ধে মামালা করেন হিন্দু সেনার প্রেসিডেন্ট বিষ্ণু গুপ্তা। তিনি দাবি করেন বিবিসি ও তার কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হবে। বিবিসির ওই তথ্যচিত্র পক্ষপাতদুষ্ট এবং নরেন্দ্র মোদী ও ভারত সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ওই মামলাটিরও আজ শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে।


এদিকে ২০০২ সালের গুজরাত হিংসা ও নরেন্দ্র মোদীর উপরে তৈরি তথ্যচিত্রটি নিয়ে চাপ বাড়ছিল বিবিসির উপরে।  ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়দের একাংশ বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিবিসির বিরুদ্ধে। এর মধ্যেই ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বিদেশ সচিব এক বিবৃতিতে বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে প্রয়াস চালিয়ে যাবে ব্রিটেন। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)