পরিযায়ী শ্রমিকদের মন ভাল করতে উদ্যোগ পুলিসের, বাহুবলী দেখিয়ে দেওয়া হল খাবার
বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের বাহুবলী সিনেমা দেখার ব্যবস্থা করে দিল দিল্লি পুলিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন— বাড়ি থেকে কয়েকশো কিমি দূরে রয়েছেন তাঁরা। বাড়ির জন্য মন ছটফট করছে সবার। বাড়ির লোকেরা কী খাচ্ছে এই দুর্দিনে! কেমন আছে সবাই! এসব চিন্তা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘুরপাক খাচ্ছে তাঁদের মাথা। তার সঙ্গে রয়েছে খিদের জ্বালা। অন্য রাজ্যে আটকে পড়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। করোনার প্রকোপ কমাতে আচমকা লকডাউন করেছে সরকার। শ্রমিকরা বাড়ি ফেরার সুযোগ পাননি। এর মধ্যে কাজ হারিয়েছেন অনেকে। মালিক দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছে। সমস্যা যেন চারপাশ থেকে এসে জেরবার করে তুলেছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। এমন দুঃসময়ে শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াল দিল্লি পুলিস। পরিযায়ী শ্রমিকদের মন ভাল রাখতে উদ্যোগ নিলেন পুলিসকর্মীরা।
বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের বাহুবলী সিনেমা দেখার ব্যবস্থা করে দিল দিল্লি পুলিস। দিল্লির ময়দানগুরি এলাকায় একটি আশ্রয় শিবিরে ১৭০০—র বেশি পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। শ্রমিকদের সিনেমা দেখানোর পাশাপাশি খাবার দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হল পুলিসের তরফে। বিভিন্ন সংস্থা এমন সময় শ্রমিকদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে। তারাই শ্রমিকদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। সেইসব সংস্থার সহায়তায় এদিন পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করল পুলিস।
আরও পড়ুন— এক মহিলার থেকে ৩১ জন সংক্রমিত! নেপথ্যে সেই তাবলিঘি জমায়েত যোগ
ইতিমধ্যে বহু শ্রমিক কয়েকশো কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩ মে পর্যন্ত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে ৩ মে লকডাউন উঠবে কি না তা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে বহু শ্রমিক বাড়ি ফিরতে গিয়ে পথেই প্রাণ হারিয়েছেন। এদিকে, রেলের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর জন্য কোনও বিশেষ ট্রেন চালানো হবে না। ফলে শ্রমিকদের সমস্যা বেড়েছে কয়েক গুণ।