ওয়েব ডেস্ক: নারদ কর্তাকে নিয়ে টানটান নাটক। দুবাই থেকে দিল্লি ফিরতেই দিল্লি বিমানবন্দরে আটক ম্যাথু স্যামুয়েল। লুক আউট নোটিস থাকায় আটকায় ইমিগ্রেশন। পরে লালবাজারের ফ্যাক্সবার্তা পেয়ে রাতেই ম্যাথুকে ছেড়ে দেয় দিল্লি পুলিস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৬ অগাস্ট, ২০১৬, শনিবার সন্ধে ৬.৩০। দুবাই থেকে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামলেন নারদকর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল। তাঁর নামে লুকআউট নোটিস থাকায় বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর সময় ইমিগ্রেশন দফতর তাঁকে আটক করে। কলকাতা পুলিসের দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে আটক করে ইমিগ্রেশন দফতর। খবর দেওয়া হয় দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পুলিস স্টেশনে। পুলিস এসে স্যামুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ম্যাথু জানান, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে না।


নারদকর্তাকে আটক করার খবর কলকাতায় এসে পৌছয় তাঁর আইনজীবী অরুণাভ ঘোষের কাছে। রাত ৯টা নাগাদ অরুণাভর জুনিয়র আইনজীবী শামিম আহমেদ লালবাজারে পৌছন। লালবাজারকে তিনি চিঠি দিয়ে জানান, স্যামুয়েলকে ছেড়ে না দিলে কলকাতা পুলিসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে। এরপরেই নড়েচড়ে বসে কলকাতা পুলিস।


রাত তখন ১০টা। লালবাজার থেকে দিল্লি পুলিসের কাছে ফ্যাক্সবার্তা পৌছয়। এরপরেই রাত সওয়া ১০টা নাগাদ ম্যাথু স্যামুয়েলকে ছেড়ে দেয় দিল্লি পুলিস। সবমিলিয়ে ম্যাথুর আইনজীবীরা কলকাতা পুলিসকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন। কলকাতা পুলিসের চূড়ান্ত ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশ সত্ত্বেও কেন ম্যাথুর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস তোলা হল না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবীরা। এই বিষয়ে পুলিস যদি তত্ক্ষণাত্‍ তত্পর হত, তাহলে নারদকর্তাকে এই হয়রানির শিকার হতে হত না বলেই দাবি তাঁদের।


দিনভর নাটক শেষে অবশেষে মুক্তি। রাতে দিল্লি পুলিসের হাত থেকে ছাড়া পান নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল। দুবাই থেকে দিল্লি বিমানবন্দরে নামার পরেই নারদ কর্তাকে আটক করে বিমানবন্দরের অভিবাসন দফতর। এরপরেই কলকাতা পুলিস কমিশনারকে চিঠি দিয়ে নারদ কর্তাকে দ্রুত ছাড়ার আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী শামিম আহমেদ। চিঠিতে জানানো হয় হাইকোর্ট নারদ মামলায় কোনও বিকল্প তদন্তে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। তারপরেও ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভিবাসন দফতর হাইকোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে আমার মক্কেলকে আটক করেছে। ৫ অগাস্ট, ২০১৬-এ এনিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাও লঙ্ঘন করা হয়েছে। কলকাতা পুলিস কমিশনারকে চিঠিতে আনেদন জানানো হয় দ্রুত নারদ কর্তাকে পুলিস কাস্টডি থেকে মুক্তি দেওয়ার।