রাতে কাকলি ঘোষ দস্তিদারের বাড়িতে হানা দিল্লি পুলিসের
জি ২৪ ঘণ্টাকে ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯ঃ৩০-১০ টা নাগাদ পুলিস আসে। তাঁদের মধ্যে সকলে উর্দিধারী ছিলেন না। তাঁরা কেবল সাংসদকে প্রশ্ন করেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সাংসদ কি না এবং তিনি এখানে একা রয়েছেন কি না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কাকলি ঘোষ দস্তিদারের বাড়িতে চড়াও দিল্লি পুলিস। তৃণমূল সাংসদ বাড়িতে আছেন কি না খোঁজ করে পুলিস। অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটের আগে ভয় দেখাতেই তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়েছে পুলিস, এমনটাই অভিযোগ কাকলির। রাত্রি বেলায় দিল্লি পুলিসের একটি দল তৃণমূল সাংসদের বাড়ি যায়। মহিলা পুলিস না থাকায় বাড়িতে ঢুকতে দেননি কাকলি।
জি ২৪ ঘণ্টাকে ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯ঃ৩০-১০ টা নাগাদ পুলিস আসে। তাঁদের মধ্যে সকলে উর্দিধারী ছিলেন না। তাঁরা কেবল সাংসদকে প্রশ্ন করেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সাংসদ কি না এবং তিনি এখানে একা রয়েছেন কি না। সাংসদ বলেন, এসব প্রশ্ন অত্যন্ত অস্বস্তিকর। তিনি একথা দলকে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার লোকসভায় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে ভোটাভুটি হবে। অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিশেষ মর্যাদা ইস্যুতে বুধবার লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছে চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি এবং কংগ্রেস। সেদিনই ওই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। তৃণমূলও যে এই প্রস্তাবে সরকারের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবস্থান নেবে তা আগে থেকেই বোঝা গিয়েছিল। প্রত্যাশা মতোই বুধবার তৃণমূলের তরফে হুইপ জারি করে সব সাংসদদের অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি হলে যে সরকার পক্ষের জয় সুনিশ্চিত, তা ভালো করেই জানে সবকটি বিরোধী দল। তবু, অনাস্থা প্রস্তাবকে হাতিয়ার করে সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে লোকসভায় আলোচনা করতে চেয়েই এই কৌশল নিয়েছে বিরোধী দলগুলি। বুধবার লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার দিন নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এটা আসল অনাস্থা নয়। ৭ মাস পর মানুষ আসল অনাস্থা আনবে। বৃহত্তর স্বার্থে আমরা থাকব"।