নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লির দয়াল সিং সান্ধ্য কলেজের নাম পরিবর্তন করে রাখা হল বন্দে মাতরম মহাবিদ্যালয়। আর তা নিয়ে মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক। সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। গেরুয়া শিবিরের চাপেই এমনটা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। সেই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ পবনকুমার শর্মা। তাঁর ব্যাখ্যা, পড়ুয়াদের মধ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনা জাগাতে এই পদক্ষেপ। এর সঙ্গে কোনও সম্প্রদায়ের যোগ নেই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অধ্যক্ষ বলেন, ''শুধুমাত্র নাম পরিবর্তনই নয়, বরং পরিকাঠামোগত উন্নতি ও নতুন বিষয়ও আনা হচ্ছে। অর্থ সাহায্য করছে মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রক। আশা করি, এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপের গুরুত্ব পড়ুয়ারা বুঝতে পারবে।'' 


শুক্রবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ দয়াল সিং সান্ধ্য কলেজের নাম পরিবর্তন করে বন্দে মাতরম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গর্ভনিং বডি। আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। কলেজের তরফে বলা হচ্ছে, প্রাতঃ ও সান্ধ্য বিভাগকে আলাদা করতেই নাম পরিবর্তন হচ্ছে। তাদের যুক্তি, ছাত্রীদের নিরাপত্তার সুনিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি পড়াশুনোর মানও বাড়বে। নাম বদলে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন গর্ভনিং বডির চেয়ারপার্সন তথা বিজেপি নেতা অমিতাভ সিনহা। তাঁর দাবি, দেশাত্মবোধক নাম রাখা হয়েছে। ভারত মাকে নিয়ে যাদের সমস্যা রয়েছে, তারা কি আদৌ মানুষ? 


আরও পড়ুন- বিশ্বমঞ্চে চিনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর হিম্মত দেখিয়েছেন মোদী, মত মার্কিন বিশেষজ্ঞের


কলেজের নাম পরিবর্তন নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিভাজন। সমর্থন করছেন সান্ধ্য বিভাগের পড়ুয়ারা। প্রাতঃবিভাগের পড়ুয়ারা আবার সোমবার বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়নের বক্তব্য, ছাত্রছাত্রীদের ওপরে দেশভক্তি চাপিয়ে দিচ্ছে বিজেপি। নাম পরিবর্তন করে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ বাম ছাত্র সংগঠনের।