গলায় ফাঁস দিয়ে সাত মাসের কন্যাসন্তানকে খুন করল কুসংস্কারাচ্ছন্ন মা
ঘটনার দিন মেয়ের সঙ্গে বাড়িতে একাই ছিলেন আদিবা।
নিজস্ব প্রতিনিধি : মেয়ে জন্মানোর পর থেকেই সংসারের আর্থিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। মায়ের চোখে তাঁর একরত্তি মেয়ে তাই অভাগী। নিতান্ত কুসংস্কার। আর তার জেরেই নিজের একরত্তি মেয়ের গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে খুন করল মা। দেশের রাজধানীর বুকে ঘটে যাওয়া এমন কদর্য ঘটনায় হতবাক তদন্তকারীরাও।
আরও পড়ুন- বিহারে এনডিএ-র আসন সমঝোতার 'ডিল' অধরাই
২৭ বছরের আদিবা খান ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে খুন করলেন তাঁর সাত মাসের মেয়েকে। উত্তর-পূর্ব দিল্লির হজরত নিজামুদ্দিন এলাকার ঘটনা। ঘটনার দিন মেয়ের সঙ্গে বাড়িতে একাই ছিলেন আদিবা। তাঁর স্বামী দর্জির কাজ করেন। ঘটনার দিন তিনি ছিলেন দোকানে। প্রথমে মেয়েকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করেন আদিবা। তার পর সাত মাসের মেয়ের দেহ জলভর্তি গামলায় বেশ কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখেন। তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতেই আদিবা এমন করেছেন বলে স্বীকার করেন। শুধু তাই নয়, স্বামীর সঙ্গে মেয়েকে নিয়ে আদিবা হাসপাতালেও যান। সেখানে ডাক্তাররা সাত মাসের একরত্তি মেয়েকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আদিবা প্রথমে পুলিশের কাছে দাবি করেন, জলভর্তি গামলায় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর মেয়ের। পরে অবশ্য পুলিশি জেরার মুখে আসল ঘটনা স্বীকার করেন তিনি।
আরও পড়ুন- বিরুদ্ধে মতে আপত্তি নেই, দেশ ভাঙার চেষ্টা বরদাস্ত নয়, হুঙ্কার রাজনাথের
মেয়ে জন্মানোর পর থেকেই সংসারে বেড়ে গিয়েছিল খরচ। একদিকে ওষুধপত্রের ব্যাপক খরচ। তার উপর বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাংসারিক অশান্তি। সব কিছুর জন্য মেয়ের দুর্ভাগ্যকেই মনে মনে দায়ি করেছিলেন আদিবা। শেষমেশ কুসংস্কারের বশে এমন জঘন্য ঘটনা ঘটানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। রাজধানীর এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। সবার মনে প্রশ্ন একটাই, কুসংস্কারাচ্ছন্ন হয়ে একজন মা কী করে নিজের ঔরসজাত সন্তানকে এভাবে হত্যা করতে পারেন!