নিজস্ব প্রতিবেদন : দিল্লির বাঙালি মার্কেটে একটি কেক শপের উপরের তলায় একসঙ্গে থাকছিলেন ৩৫ জন কর্মী। খবর পেয়ে গোটা ঘটনা হাতেনাতে ধরেন পুলিসকর্মীরা। আর তাদের মধ্যে ২ জনের মধ্যে রয়েছে করোনাভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ। এর আগেও এই মার্কেটেই ৩ জনের করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এর পরেই সিল করে দেওয়া হল গোটা বাঙালি মার্কেট। দিল্লির ২০টি করোনাভাইরাস হটস্পটের তালিকায় এখন এই বাঙালি মার্কেটও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিল্লি পুলিসের মতে, করোনা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই এখন গোটা বিশ্বের কাছে একমাত্র হাতিয়ার। আর এমন পরিস্থিতিতে একসঙ্গে ৩৫ জন কর্মীকে রেখে তাঁদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি করেছে ওই দোকান। বাঙালি পেস্ট্রি শপটির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তবে, কেক শপটির তরফে জানানো হয় নিয়ম মেনেই লকডাউনের সময়ে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, যে কর্মীরা এখানে থেকে কাজ করতেন এবং বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পাননি, তাদেরই থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সেক্ষেত্রেও কেন একই জায়গায় ৩৫ জনের থাকার ব্যবস্থা? প্রশ্ন প্রশাসনের। 


শুধু তাই নয়, পুলিস সূত্রে খবর, পুরো বিষয়টার জানতে যখন পুলিসকর্মীরা সেখানে পরিদর্শনে যান তাঁরা নিজেরাই চমকে ওঠেন। তাঁদের মতে, ওই ৩৫ জন দোকানের ছাদে নোংরা পরিবেশে থাকছিলেন। সামাজিক দূরত্ব তো দূর অস্ত, একসঙ্গে ঠাসাঠাসি করে থাকছিলেন তাঁরা। এর পরেই তাঁদের তড়িঘড়ি কোয়ারেন্টাইনের জন্য অন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়। 


তবে, এর মধ্যে চিন্তার বিষয়, ৩৫ জনের মধ্যে ২ জনের করোনাভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ রয়েছে। আর সেটাই এখন পুলিস ও স্বাস্থ্যকর্মীদের এখন ভাবনার বিষয়। তাছাড়া এর আগে এই মার্কেটেরই ৩ জনের দেহে কোভিড-নাইন্টিন পজিটিভ মেলে। ঝুঁকি না নিয়ে গোটা এলাকা তাই সিল করার ব্যবস্থা করা হয়। এলাকার প্রায় ৩০০টি বাড়ির বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বেরতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সরকারি উদ্যোগেই তাঁদের বাড়ি বাড়ি নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। 


তবে একসঙ্গে গাদাগাদি করে ছাদে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কর্মীদের রাখার কথা অস্বীকার করেছে কেক শপের মালিক পক্ষ। তাদের বিবৃতিতে জানানো হয়, লকডাউন থেকেই দোকান সম্পূর্ণ বন্ধ। কর্মীদের কোথাও যাওয়ার জায়গা না থাকায় তাদের আশ্রয় ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। 


দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬৬৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ৯ জন। বুধবার সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী দিল্লিতে ২০টি হটস্পট নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। 


আরও পড়ুন: পাক সেনার কুকীর্তি প্রকাশ্যে! মৃত পাঁচ জঙ্গির সঙ্গে থাকা জিনিসপত্রে লেখা, মেড ইন পাকিস্তান