ওয়েব ডেস্ক: ধর্ষণ মামলায় পঞ্জাব-হরিয়ানার স্বঘোষিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করল সিবিআই আদালত। মামলার রায় নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল দুই রাজ্যের বিভিন্ন অংশে। হরিয়ানার পঞ্চকুলা শহরে হাজির হন গুরমিত রাম রহিমের প্রায় দেড় লক্ষ সমর্থক। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনা তলব করে হরিয়ানা সরকার। এদিন রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করলেও সাজা ঘোষণা হবে সোমবার। এদিন রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চকুলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে তাণ্ডব শুরু করে গুরমিত রাম রহিমের সমর্থকরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রায় ১৫ বছরের পুরনো ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু রাম রহিম। মামলার তদন্ত করছিল সিবিআই। শুক্রবার পঞ্চকুলার সিবিআই আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে। তাঁর বিরুদ্ধে ‌যে সব ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে তাতে ৭ বছরের কারাদণ্ডের সাজা অবধারিত। সেক্ষেত্রে রাম রহিমকে হেফাজতে নিতে পারে সিবিআই।


ওদিকে গত কয়েকদিন ধরেই পঞ্চকুলা শহরে পৌঁছতে শুরু করেন রাম রহিমের সমর্থকরা। গোটা শহরে জারি হয় ১৪৪ ধারা। বৃহস্পতিবার গোটা শহর চলে ‌যায় তাদের দখলে। পঞ্জাব ও হরিয়ানা থেকে শহরে ভিড় করেন আট থেকে আশি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার রাতে ময়দানে নামে পুলিশ। তবে তাতে কাজের কাজ হয়নি। এদিন রায় ঘোষণার কয়েক মিনিটের মধ্যে সংবাদমাধ্যমকে আক্রমণ করে রাম রহিমের সমর্থকরা। মারধর করা হয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের। ভাঙচুর করা হয় সরাসরি সম্প্রচারের ‌যন্ত্রপাতি। উন্মত্ত সমর্থকদের ইটবৃষ্টির সামনে পিছু হঠতে বাধ্য হয় বাহিনী। কিছুক্ষণের মধ্যেই সরকারি অফিস, রেল স্টেশন ও পেট্রোল পাম্পে অগ্নি সং‌যোগের খবর আসে। 


শুক্রবার মামলার রায় ঘোষণা হতেই পঞ্চকুলা আদালত চত্বরে প্রবেশ করে সেনার গাড়ি। বেশ কয়েকটি গাড়িতে করে এসে আদালত চত্বরের দখল নেন সেনাবাহিনীর জওয়ানরা। সঙ্গে ছিল বিএসএফ-সহ একাধিক আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানরা। ছাউনিতে পরিণত হয়েছে রাম রহিমের আশ্রম শিরসা শহরও। 


সূত্রের খবর, গুরমিত রাম রহিমকে গ্রেফতার করে আম্বালা আদালতে নিয়ে ‌যেতে পারে সিবিআই। উত্তেজনার আশঙ্কায় তাঁকে হরিয়ানা ও পঞ্জাবের বাইরেও নিয়ে ‌যাওয়া হতে পারে বলে জল্পনা চলছে।