নিজস্ব প্রতিবেদন: দীর্ঘ ৪০ বছর রাজনৈতিক লড়াইয়ের সৌজন্যে ২০১৯ সালে মহাজোটের প্রার্থী হিসাবে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হতেই পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই মনে করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা তথা জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও'ব্রায়েন। তাঁর কথায়, ২০১৮-১৯ সাল হতে চলেছে 'জোটে'র বছর। এই সময়কালে কেন্দ্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে আঞ্চলিক দলগুলি। আর এমন সন্ধিক্ষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই অন্যতম অভিজ্ঞ রাজনীতিক।    
       
আরএসএস-বিজেপিকে রুখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা মায়াবতীকেও প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি ছেড়ে দিতে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সভাপতির এমন মন্তব্যের পরই মমতার নাম জোরালভাবে ভেসে উঠেছে। তবে এর মধ্যে 'চমকপ্রদ' কিছু দেখছেন না ডেরেক ও'ব্রায়েন। তাঁর মন্তব্য, বিজেপিকে সরিয়ে জনদরদি সরকার গঠন করাই সকলের লক্ষ্য। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে মমতার নাম উঠে আসায় কোনও অভিনবত্ব নেই।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিজেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে প্রচার করেননি তৃণমূল নেত্রী। তবে জোটের সলতে পাকানোর ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন তিনি। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী নেতানেত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরব বাংলার মুখ্যমন্ত্রীই। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদের দাবি, শুধুমাত্র বাংলার মানুষের কাছেই নয়, গোটা দেশেই গ্রহণযোগ্য মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪০ বছর ধরে রাজনৈতিক সংগ্রাম করছেন তিনি। দীর্ঘকাল সংসদের সদস্যও ছিলেন। বর্তমানে একটি রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী তিনি। দলনেত্রীর সুরেই ডেরেকর দাবি, ঐক্যবদ্ধ বিরোধীদের সামনে ১০০-১৫০টি আসন পেতে পারে বিজেপি। সরকার চালাতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। 


২১ শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে ১৯ জানুয়ারি কলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দেন মমতা। বলেছেন, ব্রিগেডে বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা হাজির থাকবেন। এমনকি সনিয়া গান্ধীকে তিনি আমন্ত্রণ জানাবেন বলে খবর। সেই লক্ষ্যেই ৩১ জুলাই দিল্লিতে ৩ দিনের সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে আঞ্চলিক ও বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করে আরও একবার 'ফেডারেল ফ্রন্টে'র সমর্থন ঝালিয়ে নেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।    


বিরোধী শিবির সূত্রে খবর, ২০১৯ সালে মোদীর বিরুদ্ধে মহিলা মুখকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে এই দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মায়াবতী। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অ্যাডভান্টেজে তৃণমূল নেত্রীই।


আরও পড়ুন- জয়ললিতা সন্তানসম্ভবা হননি, হাইকোর্টে জানাল তামিলনাড়ু সরকার