কেন্দ্রের টাকা ফেরত পাঠাতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ফড়ণবীস, চাঞ্চল্যকর দাবি বিজেপি নেতার
হেগড়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস বলেন, `ভিত্তিহীন কথা বলছেন হেগড়ে। এমন কিছুই ঘটেনি। পদে থাকাকালীন আমি কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিইনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কেন্দ্রীয় অনুদান কেন্দ্রের কাছে ফেরত পাঠাতে নাটকীয় ভাবে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। চাঞ্চল্যকর এই দাবি কোনও বিরোধী নেতার নয়, বরং কর্ণাটকের বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার হেগড়ের। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো ৪০,০০০ কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে ফেরত পাঠাতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ফড়ণবীস। কাজ মিটতে ইস্তফাও দিয়ে দিয়েছেন তিনি। দলীয় সাংসদের এই মন্তব্যে চরম অস্বস্তিতে বিজেপি। পালটা বয়ানে দেবেন্দ্র ফড়ণবীস জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নেননি তিনি।
রবিবার অনন্ত কুমার হেগড়ের মন্তব্য নিয়ে শোরগোল পড়ে। কর্ণাটকের বিতর্কিত এই সাংসদ বলেন, 'আপনারা জানেন যে নাটকীয় ভাবে ৮০ ঘণ্টার জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন আমাদেরই একজন। ইস্তফাও দিয়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এই নাটকের কারণ কী? সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই জেনেও কেন মুখ্যমন্ত্রী করা হল তাঁকে? সবাই একই প্রশ্ন করছে।' হেগড়ের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর হাতে কেন্দ্রীয় তহবিলের ৪০,০০০ কোটি টাকা ছিল। এনসিপি, কংগ্রেস, শিব সেনা ক্ষমতায় এলে সেই টাকা বেহাত হয়ে যেত। ওই টাকা কেন্দ্রের কাছে ফেরত পাঠাতেই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। হেগড়ে বলেন, ভুল হাতে পড়ে ওই টাকার অপব্যবহারের সম্ভাবনা ছিল।
হেগড়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস বলেন, 'ভিত্তিহীন কথা বলছেন হেগড়ে। এমন কিছুই ঘটেনি। পদে থাকাকালীন আমি কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিইনি। এরকম করা যায় না কি? দরকার হলে অর্থ দফতর তাঁর দাবি তদন্ত করে দেখতে পারে।'
ধর্ষককে রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে মারা উচিত, বলতে বলতে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন জয়া বচ্চন
ফড়ণবীসের দাবি, বুলেট ট্রেন প্রকল্পের যে টাকা ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে তা ভুয়ো। বুলেট ট্রেন প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ ছাড়া রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকাই নেই। এই খাতে রাজ্য সরকার একটা টাকাও পায়নি, তাই ফেরত পাঠানোরও প্রশ্ন নেই। অন্য কোনও প্রকল্পের কোনও টাকা ফেরত যায়নি।
ওদিকে বিজেপির এই কোঁদলে ফয়দা তুলতে মাঠে নেমে পড়েছে কংগ্রেসও। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, 'এই ঘটনায় বিজেপি কতটা মহারাষ্ট্র বিরোধী তা প্রকাশ্যে চলে এসেছে।'