নিজস্ব প্রতিবেদন : ফণির তাণ্ডবে ওড়িশার বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখনও লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে। ভুবনেশ্বর ও কটকের একাধিক অঞ্চলে এখনও বিদ্যুত সংযোগ নেই। সাইক্লোন ফণির দাপটে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে পুরী ও ভুবনেশ্বরের একাধিক হোটেলের। সরকারি হিসাব বলছে, পুরীতে ৩০০ হোটেলে কম-বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে, ভুবনেশ্বরের ১০০টি হোটেল ফণির দাপটে ক্ষতির মুখে পড়েছে। পুরী ও ভুবনেশ্বরে পর্যটন শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বিধ্বংসী সাইক্লোনের জেরে। কীভাবে এই ক্ষতি পূরণ হবে তা ভেবে দিশা পাচ্ছেন না হোটেল মালিকরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  অযোধ্যা মামলার সমাধানে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত সময় পেলেন মধ্যস্থতাকারীরা



পুরী ও ভুবনেশ্বরের ক্ষতিগ্রস্থ হোটেল মালিকদের পাশে দাঁড়ালেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে একটি চিঠি লিখেছেন। তাতে ক্ষতিগ্রস্থ হোটেলগুলির জন্য কোনও বিশেষ স্কিম চালু করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। চিঠিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান লিখেছেন, ''পুরীর অর্থনীতিতে এই ঝড় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। ওড়িশার অর্থনীতির বড় দিক পর্যটন। পুরীর পর্যটন শিল্পে বড়সড় আঘাত হেনেছে ফণি। বিশেষ করে হোটেল ইন্ডাস্ট্রি-র এই মুহূর্তে আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন। হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রিকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলতে সাহায্য করা প্রয়োজন। এতে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে সঙ্গে তীর্থযাত্রী ও পর্যটকরাও নতুন করে আশার আলো দেখতে পাবেন। সাইক্লোনের প্রভাবে পুরী ও ভুবনেশ্বরের আশেপাশে বিস্তীর্ণ অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এই সময় আমাদের হাতে হাত রেখে ওদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।''


আরও পড়ুন-  মমতা ফোন ধরেননি, সর্বসমক্ষে সেটা বলতে বাধ্য করেছেন তৃণমূল নেতা, দাবি মোদীর


ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে তুলতে হোটেল মালিকদের ঋণের ব্যবস্থা করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। কম সুদে ঋণ পেলে হোটেল মালিকরা কিছুটা সাহায্য পেতে পারেন বলে জানিয়েছেন  কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। একইসঙ্গে পোল্ট্রি, ভেড়ি, চাষবাসের সঙ্গে জড়িত মানুষদের জন্যও একইরকমভাবে বিশেষ স্কিম চালু করার আর্জি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ব্যাঙ্ক ও বিমা সংস্থাগুলিকেও এমন বিপদের সময় ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন তিনি।