পৌরহিত্যের ডিপ্লোমা কোর্স, দেশকে দিশা মধ্যপ্রদেশের
বাড়িতে পুজো? অথবা বিয়ে, পৈতে, অন্নপ্রাশন বা অন্যকিছু? সব প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন অথচ মনের মতো পুরোহিত পাচ্ছেন না তাই তো? আসলে এ সমস্যা আপনার একার নয়। সারা দেশে বহু হিন্দু পরিবারেই এই এক ঝক্কি। বহু ক্ষেত্রেই কুলপুরোহিতের পরবর্তী প্রজন্ম অন্য পেশায় চলে যাওয়ায় `বিপদে` পড়ছেন যজমান। অবশেষে পাড়ার বা বেপাড়ার কোনও এক পৈতেধারীকেই ডেকে এনে বসাতে হচ্ছে ঠাকুরঘরে, পুরভাগে থেকে আপনার হিত কামনার জন্য। কিন্তু হিত কামনা আদৌ কিছু হচ্ছে কিনা তা তো আপনি বুঝছেনও না, বরং অং-বং-চং আওড়ানো পুরুতঠাকুরকে দেখে আপনার মোটেই ভক্তি আসছে না। এই `সমস্যা` থেকে তামাম যজমানকুলকে নিস্তার দিতে পৌরহিত্যের ডিপ্লোমা কোর্স চালু করল মধ্যপ্রদেশ সরকার। দেশের মধ্যে প্রথম এই রাজ্যেই এমন একটা কোর্স সরকারি উদ্যোগে পথচলা শুরু করল। কিন্তু, কী থাকছে এই কোর্সে? `প্রশিক্ষিত ঠাকুরমশাই` হতে কতটা সিলেবাসের চাপ পোহাতে হবে শিক্ষার্থীদের?
ওয়েব ডেস্ক: বাড়িতে পুজো? অথবা বিয়ে, পৈতে, অন্নপ্রাশন বা অন্যকিছু? সব প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন অথচ মনের মতো পুরোহিত পাচ্ছেন না তাই তো? আসলে এ সমস্যা আপনার একার নয়। সারা দেশে বহু হিন্দু পরিবারেই এই এক ঝক্কি। বহু ক্ষেত্রেই কুলপুরোহিতের পরবর্তী প্রজন্ম অন্য পেশায় চলে যাওয়ায় 'বিপদে' পড়ছেন যজমান। অবশেষে পাড়ার বা বেপাড়ার কোনও এক পৈতেধারীকেই ডেকে এনে বসাতে হচ্ছে ঠাকুরঘরে, পুরভাগে থেকে আপনার হিত কামনার জন্য। কিন্তু হিত কামনা আদৌ কিছু হচ্ছে কিনা তা তো আপনি বুঝছেনও না, বরং অং-বং-চং আওড়ানো পুরুতঠাকুরকে দেখে আপনার মোটেই ভক্তি আসছে না। এই 'সমস্যা' থেকে তামাম যজমানকুলকে নিস্তার দিতে পৌরহিত্যের ডিপ্লোমা কোর্স চালু করল মধ্যপ্রদেশ সরকার। দেশের মধ্যে প্রথম এই রাজ্যেই এমন একটা কোর্স সরকারি উদ্যোগে পথচলা শুরু করল। কিন্তু, কী থাকছে এই কোর্সে? 'প্রশিক্ষিত ঠাকুরমশাই' হতে কতটা সিলেবাসের চাপ পোহাতে হবে শিক্ষার্থীদের?
কোর্সের নাম- 'পৌরহিত্যম্' (ডাকনাম- পুরহিতগিরি)।
কোর্সের মেয়াদ- ১ বছর।
ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা- ক্লাস টুয়েলভ পাস।
এই কোর্সে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর জাত দেখা হবে না। অর্থাত্ তফশিল জাতীর প্রার্থীরাও এই কোর্সে আবেদন করতে পারবেন।
কোর্স শুরু হবে- জুলাই মাস থেকে।
সিলেবাসে থাকবে- পৌরহিত্যের প্রাথমিক পাঠ, বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান, হিন্দু মন্ত্র ইত্যাদি।
মধ্যপ্রদেশ সরকারের তরফে কোর্সটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে "মহাঋষি পতঞ্জলি সংস্কৃত সংস্থান"। এই সংস্থার উপরেই রাজ্যের যোগাভ্যাস ও সংস্কৃত শিক্ষার দায়িত্ব। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকার তফসিল জাতির মানুষদের পৌরহিত্য পেশায় প্রশিক্ষণ দেওয়ায় গত বছর মে মাসে মধ্যপ্রদেশের ব্রাহ্মণদের একটা অংশ সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বিক্ষোভ দেখায়। সেই চোখ রাঙানিকে ভয় না পেয়ে তারপরও মধ্যপ্রদেশ সরকারের এমন আধুনিক ও উদারমনস্ক সিদ্ধান্তের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সমাজের বিভিন্ন অংশ। বেকার সমস্যায় জর্জরিত ভারতে, বিকল্প পেশা হিসাবে পৌরহিত্যের ভবিষ্যতকে বেশ উজ্জ্বলই দেখছে সংশ্লিষ্ট মহল। অনেকে আবার মজা করে বলছেনও, তাহলে তো আর পুরহিত নয়, বরং 'পুরোহিট'! কী বলেন আপনি?