ওয়েব ডেস্ক: আম আদমি পার্টিতে ভাঙন অব্যাহত। অন্যতম দুই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য যোগেন্দ্র যাদব ও প্রশান্ত ভূষণেকে দল থেকে বিতর্কিতভাবে প্রায় ঘাড় ধাক্কা দিয়ে দলের জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে বিতরণের পর এবার আপ থেকে সরে দাঁড়ালেন সমাজকর্মী মেধা পাটকর। দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়ার পর মেধা জানালেন বিন্দুমাত্র আফসোস নেই তাঁর।  তবে আপ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এখনও দলের হাতে মেধার পদত্যাগপত্র এসে পৌছায়নি।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

''আমার কোনও আফসোস নেই, অভিজ্ঞতাটা ভালই ছিল।'' জানিয়েছেন মেধা।


মেধা বলেছেন বর্তমানে দলে যা চলছে তাতে আপ-এর প্রতি মানুষের বিশ্বাস নষ্ট হবে।


''এই ঘটনা অবশ্যই মানুষকে প্রভাবিত করবে। আশা করব মানুষ এই নিয়ে মুখ খুলবেন। ভিতরের কোন্দল বাইরে আনা আমাদের লক্ষ্য নয়। আমরা আহত, আমরা হতাশ। কিন্তু এই ঘটনা একটা অভিজ্ঞতা। আমার মত একজনের প্রকাশ্যে চুপ করে থাকার কারণ ছিল একটাই, দলের প্রতি শুভ কামনা।''


মেধার মতে আজকে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তারপর বিকল্প রাজনীতির ক্ষেত্রে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আপ-এর থেকে আর বেশি কিছু আশা করার নেই।


এই সমাজকর্মী জানিয়েছেন ''আশা করব এর পরেও আপ দিল্লির মানুষের প্রতি নিজেদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারবে। তবে আমি আপ-এর সমস্ত কর্মী, সমর্থককে ভেবে দেখতে বলব বিকল্প রাজনীতির ক্ষেত্রে আমাদের মূল লক্ষ্যটা আসলে কী।''


তবে তিনি জানিয়েছেন জন আন্দোলনের মাধ্যমে তৈরি হওয়া বিকল্প রাজনীতির প্রতি তাঁর আস্থা এখনও অটুট।


আপের জাতীয় কর্মসমিতি থেকে শেষপর্যন্ত বহিষ্কারই করা হল যোগেন্দ্র যাদব, প্রশান্ত ভূষণকে। তুমুল চেঁচামেচি, হই-হট্টোগোলের মধ্যে আজ দুই নেতার বিরুদ্ধে শাস্তির প্রস্তাব পেশ হয় জাতীয় পরিষদের বৈঠকে। ৩০০  জন ন্যাশনাল কাউন্সিল সদস্যের মধ্যে ২৩০  জনের সম্মতিতে পাস হয়ে যায় প্রস্তাব।   একইসঙ্গে বহিষ্কৃত হয়েছেন যোগেন্দ্র যাদব গোষ্ঠীর আরও দুই নেতা আনন্দ কুমার ও অজিত ঝা। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ভাষণ দিয়ে এদিন শুরু হয় বৈঠক। এরপরই অবশ্য বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান কেজরিওয়াল। তাঁর অনুপস্থিতিতে শাস্তি-প্রস্তাব পেশ করেন মণীশ সিসোদিয়া। ভিতরের ক্ষোভের আঁচ ছিল বৈঠকস্থলের বাইরেও। সমানতালে চলেছে ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ-স্লোগান।


আপের জাতীয় কর্মসমিতি থেকে বহিষ্কারের পরই প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন যোগেন্দ্র যাদব। তাঁর অভিযোগ, বৈঠকের মধ্যেই বাউন্সার এবং গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে তাঁদের মারধর করিয়ে বের করে দেওয়া হয়। খুন করা হয়েছে গণতন্ত্রকে। আপের বৈঠকে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। গোপন ব্যালট তো নয়ই, প্রকাশ্যেও ভোট নেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র চেঁচামেচির মধ্যেই শাস্তির প্রস্তাব পাস বলে ঘোষণা করে দেওয়া হয়। একই অভিযোগ আরেক বহিষ্কৃত নেতা প্রশান্ত ভূষণের।