নিজস্ব প্রতিবেদন: হাঁফ ছেড়ে বাঁচল তামিলনাড়ুর পালানিস্বামী সরকার। এআইএডিএমকের ১৮ বিদ্রোহী বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের আদেশ বহাল রাখল মাদ্রাজ হাইকোর্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওইসব বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ করেন তামিলনাড়ু বিধানসভার স্পিকার পি ধনপাল। সদস্যপদ খারিজ হওয়া বিধায়করা সবাই দিনাকরণ লবির। দিনাকরণ এআইএডিএমকে ছেড়ে বর্তমানে নতুন দল এএমএমকে গঠন করেছেন।


আরও পড়ুন-মোবাইল টাওয়ার লোকেশনই ধরিয়ে দিল অর্চনা পালংদার খুনে জড়িত 'তৃতীয় ব্যক্তি'কে!  


এদিন আদালতের রায়ে বলা হয় তামিলনাড়ু বিধানসভা স্পিকারের ওইসব বিধায়কদের বরখাস্ত করার মধ্য কোনও আইনি সমস্যা নেই। স্পিকারের ওই নির্দেশের মধ্যে আদালত যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত মাদ্রাজ হাইকোর্টের ওই নির্দেশের ফলে মাথার ওপর থেকে বোঝা নেমে গেল পালানিস্বামীর।


এদিকে আদালতের ওই আদেশে খুশির হাওয়া এআইএডিএমকে শিবিরে। দলের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, এই রায় গণতন্ত্রের জয়। আর বিশ্বাসঘাতকদের কাছে একটা বড় শিক্ষা। ওই ১৮ আসনে যদি এখনও উপনির্বাচন হয় তাহলে আম্মার সরকার ফের জিতবে। বাকি বিষয় ঠিক করবে নির্বাচন কমিশন।


এআইএডিএমকে মুখপাত্র পি ভালারমাথি জানিয়েছেন, পালানিস্বামী সরকার এতদিন তার ক্ষমতা জানান দিয়েছে। আমরা খুশি। এদিকে, আদালতের ওই রায়ের পর এখন চাপে পড়ে গিয়েছেন দিনাকরণ। তবে তিনি হার মানতে নারাজ। তিনি বলেন, এই রায় আমাদের লড়াইয়ে কোনও প্রভাব ফেলবে না। এর পরে আমরা কী করব তা আলোচনা করে ঠিক করব। এটা কোনও আঘাত নয়। বরং এটা এক ধরনের অভিজ্ঞতা। এতে আমাদের লড়াই আরও শক্ত হবে।


আরও পড়ুন-গভীর জঙ্গলে উদ্ধার 'মহিলার' খুলি, পোশাক, হাড়গোড়! চাঞ্চল্য


উল্লেখ্য, গতবছর ২২ অগাস্ট দিনাকরণ লবির ১৯ বিধায়ক রাজ্যের রাজ্যপাল বিদ্যাসাগর রাওয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করে পালানিস্বামী সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করের। এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর বিধানসভা স্পিকার পি ধনপাল ওইসব বিধায়কদের মধ্যে ১৮ জনের সদস্যপদ খারিজ করেন। এনিয়ে মামলা গড়ায় মাদ্রাজ হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পিকারের ওই নির্দেশ বহাল রাখেন। তবে অন্যান্য বিচারপতিরা এনিয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেন। এতেই গোটা বিষয়টি ফের আইনি লড়াইয়ের পথে গড়ায়।


বর্তমানে ২১৫ আসনের তামিলনাড়ু বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন হল ২০৮। আর পালানীস্বামী শিবিরের হাতে বর্তমানে রয়েছে ২০৯ বিধায়ক।