ওয়েব ডেস্ক : ভোপালের কালীমন্দিরে বিয়ে। এরপর একটি ফ্ল্যাটে  সংসার শুরু আকাঙ্খা আর উদয়নের। আচমকাই ফাটল। শুরু  সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন। পুলিসের অনুমান, আকাঙ্খা শর্মার সঙ্গে অন্য কোনও পুরুষের সম্পর্ক রয়েছে এই সন্দেহটাই বাসা বাঁধে উদয়নের মনে। দিনরাত বচসা লেগে থাকত দুজনের মধ্যে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিসের দাবি, উদয়ন তাঁদের জানিয়েছে, জুলাইয়ে এক রাতে ঝগড়ার সময় আকাঙ্খার গলা টিপে ধরে উদয়ন। আকাঙ্খা ছটফট করতে থাকে। কিন্তু উদয়নের মাথায় তখন খুন চেপে বসেছে। এক সময় আকাঙ্খা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। লাশ বাইরে নিয়ে গেলে জানাজানি হয়ে যেত, সে জন্য বাড়িতেই লাশ পুঁতে দেওয়ার ব্যবস্থা করে উদয়ন।


এক বন্ধুর সাহায্যে একটি একটি লোহার ট্রাঙ্ক নিয়ে আসে উদয়ন। লম্বায় ৫ ফুট, চওড়ায় ৩ ফুট। সেই ট্রাঙ্কে দেহ রাখার পর ১০বস্তা সিমেন্ট এবং জল ঢালে। দেহ কংক্রিট হয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে থাকে উদয়ন। এরপর দেহ পোঁতা হয় রান্নাঘরের মেঝেতে। সেখানেই কংক্রিটের স্ল্যাব তৈরি করে রাজমিস্ত্রিদের সাহায্যে।


৩টি ড্রিল মেশিন নিয়ে প্রায় ৭ ঘণ্টার চেষ্টায় দেহ বের করা হয়। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ দেহের ময়নাতদন্ত সম্ভব নয়। দেহ কার, তা নিশ্চিত করতে একমাত্র ভরসা DNA টেস্ট।


আরও পড়ুন, ভোপালে খুন বাঁকুড়ার তরুণী আকাঙ্ক্ষা শর্মা, ৭ মাস পর খুনের কিনার পুলিসের