নিজস্ব প্রতিবেদন- দিল্লিতে এখন করোনার থেকে বেশি বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে দূষণের সমস্যা। একে তো করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় ঘুম উড়েছে আপ প্রশাসনের। তার মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত দূষণ। দিল্লি যেন বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। অসহনীয় দূষণ দেশের রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের উপরও প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমন মাত্রাতিরিক্ত দূষণের ফলে দিল্লিবাসীর শ্বাসযন্ত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এই যেমন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে এবার চিকিত্সকরা দিল্লি ছাড়ার পরামর্শ দিলেন। তাঁর শরীরের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে দিল্লির দূষণ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শ্বাসকষ্ট ছিল সোনিয়া গান্ধীর। সেইসঙ্গে অনেকদিন ধরেই তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণের সমস্যাও রয়েছে। আর তাই দিল্লির দৃষণ তাঁর উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন চিকিত্সকরা। দিল্লির দূষণের মাত্রা কবে নাগাদ কমবে তার কোনও ঠিক নেই। তাই কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে অবিলম্বে দিল্লি ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা। আজ দুপুরেই দিল্লি ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, কিছুদিনের জন্য তিনি চেন্নাই বা গোয়া যেতে পারেন। তবে তাঁর নিরাপত্তার দিক বিচার করে এখনই জানানো হচ্ছে না যে তিনি কয়েকদিন ঠিক কোথায় থাকবেন!


আরও পড়ুন-  পাচার চক্রে নিখোঁজ ৭৬টি শিশুকে উদ্ধার, সোশ্যালে ভাইরাল লেডি হেড কনস্টেবল


রাহুল বা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও সোনিয়ার সঙ্গে কিছুদিনের জন্য দিল্লির বাইরে থাকতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। অগাস্ট মাসেই শারীরিক অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। তার পর থেকেই তাঁকে কড়া ডোজ-এর ওষুধ সেবন করতে হয়। অ্যাজমার সমস্যার জন্য গত কয়েক বছর ধরেই চিকিত্সার মধ্যে রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি সেই সমস্যা আরও বেড়েছে। বিহার নির্বাচনে ব্যর্থতার পর থেকেই কংগ্রেসের অন্দরমহলে অন্তর্দ্বন্দ্বের বাতাবরণ রয়েছে। তার মধ্যেই পার্টির প্রধানকে দিল্লি ছেড়ে যেতে হচ্ছে। যা কি না অপ্রত্যাশিত বটে!