নিজস্ব প্রতিবেদন: ‘পশ্চিমবঙ্গের মার্কেটিং করবেন না।’ লোকসভায় আলোচনা চলাকালীন তৃণমূল সাংসদকে নজিরবিহীনভাবে কটাক্ষ স্পিকার ওম বিড়লার। আজ লোকসভায় ‘আয়ুষ্মান ভারত’ নিয়ে চলছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। এ সময় উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় কেন্দ্রের ভূমিকা জানতে চান জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়। জবাবে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানান, কল্যাণীতে এইমস-র তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি, ১০ জেলা হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করার কাজও চলছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে একহাত নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘আয়ুষ্মান ভারত’ স্বাস্থ্য প্রকল্প চালু করেও মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


তিনি এ দিন তথ্য দিয়ে বলেন, ২০১৯ সালে জানুয়ারিতে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্প বন্ধ করে পশ্চিমবঙ্গ। গরিব মানুষকে ৫ লক্ষ টাকা স্বাস্থ্য বিমা দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। রাজনৈতিক উর্ধ্বে দাঁড়িয়ে এই প্রকল্পকে পুনরায় চালু করা উচিত বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন না করে পালটা জবাব দিতে শুরু করেন। প্রথমে কটাক্ষ, দলের চাপে গ্যালারিতে খেলছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনজি। তারপর বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার ‘স্বাস্থ্যসাথী’ বলে একটি প্রকল্প শুরু করেছে। প্রতিবছর প্রতি পরিবার ৫ লক্ষ টাকা করে পাবে।” তখনই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে থামিয়ে স্পিকার বলেন, “আপনাকে পশ্চিমবঙ্গের মার্কেটিং করতে বলা হয়নি। প্রশ্ন করতে বলা হয়েছে।”


আরও পড়ুন- আধ গ্লাস জল শেষ করলে তবেই মিলবে আরও আধ গ্লাস, নয়া নিদান বিধানসভায়


যদিও কলকাতা উত্তরের তৃণমূল সাংসদ বলে যান, “যতদূর জানি, এখনও অনেক রাজ্য আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করেনি।” এই প্রশ্নের জবাবে হর্ষ বর্ধন জানান, তেলঙ্গানা, দিল্লি-র মতো রাজ্যের সঙ্গে কথা চলছে। খুব শীঘ্রই তারাও চালু করবে। ওড়িশার সঙ্গেও চূড়ান্ত কথাবার্তা চলছে। কেন্দ্রীয়মন্ত্রী আরও জানান, রাজস্থান ও পঞ্জাবও খুব তাড়াতাড়ি আয়ুষ্মান ভারতকে অন্তর্ভুক্ত করবে। এরপরে আর কোনও প্রশ্ন করতে দেখা যায়নি তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।