নিজস্ব প্রতিবেদন: বধূনির্যাতনের মামলায় অভিযুক্তকে তত্ক্ষণাত্ গ্রেফতারির ওপর জারি স্থগিতাদেশ পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে বলে জানাল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। গত ২৭ জুলাই ৪৯৮ (এ) ধারায় গ্রেফতারির ওপর এই নির্দেশিকা জারি করেছিল সর্বোচ্চ আদালত।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: অটোয় পুরুষ দেখে ওঠা উচিত হয়নি, গণধর্ষিতাকে পরামর্শ কিরণের


ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ (এ) ধারায় বধূকে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে তাত্ক্ষণিক গ্রেফতারির সুযোগ ছিল। গত ২৭ জুলাই এক নির্দেশিকায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আদর্শ কুমার গোয়েল ও বিচারপতি উদয় ললিতের ডিভিশন বেঞ্চ জানান, ৪৯৮ (এ) ধারায় বধূনির্যাতনের মামলায় তত্ক্ষণাত্ গ্রেফতার করা যাবে না অভিযুক্তকে। পরিবর্তে পরিবারকল্যাণ কমিটিকে পুরো বিষয়টিকে খতিয়ে দেখে মতামত জানাতে হবে। সেই মতের ভিত্তিতেই গ্রেফতারির সিদ্ধান্ত নিতে পারবে পুলিশ। 


সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে নারী অধিকার খর্ব হচ্ছে বলে ফের আদালতের দ্বারস্থ হয় ১৬টি সংগঠন। তাঁদের দাবি, জুলাইয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর থেকে দেশে বধূনির্যাতনের অভিযোগ আর আগের মতো গুরুত্ব দিয়ে বিচার করা হচ্ছে না। যে ওয়েলফেয়ার কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে, তাও অনেক সময়সাপেক্ষ। এরফলে এই রায় নারী অধিকার পরিপন্থী বলে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। সুরাহা চেয়ে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের কাছে স্মারকলিপিও দেয় ওই নারী অধিকার সংগঠনগুলি।


আরও পড়ুন: লকুিয়ে ৩, সেনা জঙ্গি সংঘর্ষে উত্তপ্ত জম্মু কাশ্মীর


সেই মামলায় বুধবার আদালতের পর্যবেক্ষণ, ভারতীয় দণ্ডবিধিতে বধূ নির্যাতন নিয়ে সুস্পষ্ট আইনি ধারা রয়েছে। তবে আবার নির্দেশিকা কেন? আদালত আরও জানিয়েছে, সেক্ষেত্রে তদন্তকারী সংস্থা নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগের ওপর সতর্ক থাকলেই হবে। এই ইস্যুতে ডিভিশন বেঞ্চ আগে যে নির্দেশিকা দিয়েছিল, তার কি আদৌ কোনও প্রয়োজন রয়েছে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে খোদ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে।