মদ্যপ যুবকের বেপরোয়া গাড়ি পরপর পিষে দিল তিন জনকে! মৃত ২!
সারারাত পার্টি করে মদ খেয়ে, বাবার হন্ডা সিটি গাড়ি নিয়ে ফেরার পথে দিল্লিতে মাত্র দেড় কিলোমিটারের মধ্যেই ৩ জনকে ধাক্কা মারল দিল্লিরই জনকপুরির বাসিন্দা বছর একুশের ঋষভ। শুধু তাই নয়, এক একটি ধাক্কা মারার পরও সে থামেনি একটি বারের জন্যও, বরং গাড়ি নিয়ে পালাবার চেষ্টা করে মত্ত অবস্থাতেই। ঋষভের গাড়ির ধাক্কায় ২ জন মারা গেছেন এবং একজন এতটাই গুরুতর অসুস্থ যে পুলিশের কাছে জবানবন্দি দেওয়ার অবস্থাতেও নেই।
ওয়েব ডেস্ক: সারারাত পার্টি করে মদ খেয়ে, সোমবার সকালে বাবার হন্ডা সিটি গাড়ি নিয়ে ফেরার পথে দিল্লিতে মাত্র দেড় কিলোমিটারের মধ্যেই ৩ জনকে ধাক্কা মারল দিল্লিরই জনকপুরির বাসিন্দা বছর একুশের ঋষভ। শুধু তাই নয়, এক একটি ধাক্কা মারার পরও সে থামেনি একটি বারের জন্যও, বরং গাড়ি নিয়ে পালাবার চেষ্টা করে মত্ত অবস্থাতেই। ঋষভের গাড়ির ধাক্কায় ২ জন মারা গেছেন এবং একজন এতটাই গুরুতর অসুস্থ যে পুলিশের কাছে জবানবন্দি দেওয়ার অবস্থাতেও নেই।
পুলিসের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ঋষভ প্রথম ধাক্কা মারেন ৪০ বছর বয়সী, পেশায় সরকারি কর্মী, কামেশ্বর প্রসাদকে। তিনি তখন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে ছিলেন। এতটাই জোরে ধাক্কা লাগে কামেশ্বরের যে তিনি বেশ কয়েক ফুট দুরে ছিটকে পড়েন। কিন্তু ঋষভের গাড়ি থামে না। আরও বেশী বেগে চলতে থাকে।
এরপর, ধাক্কা মারে বছর চল্লিশেরই সন্তোষকে। তিনি সকালে গাড়ি ধুচ্ছিলেন। তবুও গাড়ি থামে না। শেষ ধাক্কাটা ঋষভ মারে ৬৭ বছরের অশ্বিনী আনন্দকে, তিনিও প্রাতঃভ্রমণেই বেড়িয়ে ছিলেন। এই ছবি ধরা পড়েছে সিসিটিভির ফুটেজেও।
কামেশ্বর ও অশ্বিনী আনন্দ সঙ্গে সঙ্গেই মারা যান। সন্তোষবাবু এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।
পুলিস সূত্রে জানা গেছে, হন্ডা সিটিটি ঋষভের ব্যবসায়ী বাবার নামেই নথীভূক্ত রয়েছে সরকারি কাগজপত্রে এবং ঋষভ নিজে দিল্লিরই একটি কলেজে 'বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন'-এর ছাত্র।
গাড়িটি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে এবং ঋষভের বিরুদ্ধে ভারতীয় পিনাল কোডের এবং মটরভিকেল অ্যাক্টের হোমিসাইড ধারায় মামলা রজু করা হয়েছে।