ব্যুরো: বিশ্বায়নের দুরন্ত গতিতে ছুটছি আমরা। মনের মধ্যে লক্ষ বাসনা।  বাসনা পূরণে হাজির আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপও। স্বপ্নপূরণের রঙ-বেরঙের বিজ্ঞাপন নিয়ে হাজির ফেরিওয়ালারাও। কিন্তু সাধ থাকলেই তো আর  সাধ্যে কুলোয় না। আর এখানেই তৈরি হচ্ছে বিপত্তি।  পছন্দের জিনিস হাতের মুঠোয় পেতে ঘৃণ্য অপরাধেও পিছপা হচ্ছে না ভোগমুখী সমাজ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এইটাই একুশ শতকের আর এক সঙ্কট।


চারদিকে হাতছানি দিয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন ভোগ্য পণ্য। পছন্দের জিনিসটা যেন তেন প্রকারে পেতেই হবে।
আর তা পেতে কখনও কখনও গ্রাস করছেঅপরাধ প্রবণতাও ।


দুদিন আগে তেমনই এক চরমতম ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দিল্লি। কিশোরের আকাঙ্খা ছিল একটা স্মার্ট ফোন কেনার। তা হাসিল করতেই প্রথমে ছবছরের এক শিশুকে অপহরণ। পরে গলা কেটে খুন।


চমকে উঠেছে গোটা দেশ। ওই কিশোরে এই অপরাধ আমাদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে আয়নার সামনে। কারণ মনস্তাত্বিকদের অনেকের মতে এধরণের চরম ঘটনা কেবল হিমশৈলের চূড়া। আসলে এর বীজ লুকিয়ে আছে এই অস্থির সময়ে সমাজের প্রায় প্রতিটি মানুষের মধ্যেই। তাঁদের মতে, প্রতিটি না পাওয়ার হতাশাই পণ্যের প্রতি মানসিক খিদেটা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।


কিছু একটা কিনে যদি সেই খিদে চাপা দেওয়া না যায়। তখনই শুরু অন্য পথে পা বাড়ানো।