উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যে কাঁটায় কাঁটায় লড়াই বিজেপির
২০১৪-তে গেরুয়া ঝড়ে কেন্দ্রে ইউপিএ-২ সরকারের পতন হয়। এরপর একে একে দেশের ১৪টি রাজ্যেও দায়িত্ব নেয় বিজেপি। কার্যত সেই হাওয়ায় গা ভাসিয়ে ২০১৬-তে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে ওই ৬ বিধায়ক যোগ দেন বিজেপিতে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তর-পূর্ব ভারতের তিন রাজ্যের ভোটকেই পাখির চোখ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কারণ বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি জানতেন, সেখানে কার্যত শূন্য থেকে দলকে শুরু করতে হবে। টান টান উত্তেজনার মাঝেই ভোটগ্রহণ হয় ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে। একদিকে ত্রিপুরায় টার্গেট মানিক দুর্গে ফাটল ধরানো, অন্যদিকে নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে টক্কর। আর শনিবার সকালে ভোটগণনা শুরু হতেই মোদী-অমিত শাহদের হাসি ক্রমশ চওড়া হতে শুরু করেছে।
ত্রিপুরায় ২৫ বছরের মানিক দুর্গে আঘাত হানাই ছিল বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। ২০১২ সালে সেখানে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন ৬ জন বিধায়ক। এরপর জল গড়ায় অনেকটাই। ২০১৪-তে গেরুয়া ঝড়ে কেন্দ্রে ইউপিএ-২ সরকারের পতন হয়। এরপর একে একে দেশের ১৪টি রাজ্যেও দায়িত্ব নেয় বিজেপি। কার্যত সেই হাওয়ায় গা ভাসিয়ে ২০১৬-তে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে ওই ৬ বিধায়ক যোগ দেন বিজেপিতে। সেখান থেকেই কার্যত ত্রিপুরায় বিজ পোতা শুরু করে গেরুয়া শিবির। মেরুকরণের রাজনীতি ক্রমশ চেপে বসতে থাকে উত্তর-পূর্বের এই সীমান্ত রাজ্যের মানুষের মনে। আর তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে এদিনের প্রাথমিক ট্রেন্ডে।
তবে, নাগাল্যান্ডে চিত্রটা কিছুটা আলাদা ছিল। শাসকদল এনপিএফ ২০১৩ সালে বিজেপির সঙ্গে জোট করে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু, নিজেদের দাবি না মেটায় নির্বাচনের আগে বিজেপি থেকে বেরিয়ে আসে এনপিএফ। এই অবস্থায় প্রাক্তন সঙ্গীর বিরুদ্ধেই সেখানে লড়াই করাটা ছিল আরও কঠিন। তবে, এখানেও গণনা শুরু হতেই সকাল থেকে কাঁটায় কাঁটায় লড়াই দেখা যাচ্ছে বিজেপি ও এনপিএফ-এর মধ্যে। যদিও, সমান্য ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।
অন্যদিকে, মেঘালয়ের ট্রেন্ডটা ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। সেখানে কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াইটাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জের। তবে, সেখানে পিএ সাংমার এনপিপি একটা বড় ফ্যাক্টর হতে পারে বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল। এখন তারাই ভরসার জায়গা বিজেপির।
সাংমা ফ্যাক্টর কাজ করলেও, গণনা শুরু হতেই মেঘালয়ের ট্রেন্ড কিন্তু অন্য কথা বলছে। অস্তিত্বরক্ষার লড়াইয়ে সেখানে এগিয়ে কংগ্রেসই। তবে, তারা যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় তাহলে, ভোট পরবর্তী জোট গড়ে তাদের আটকানোর চেষ্টা করবে বিজেপি ও এনপিপি।