ছোট ব্যবসায়ীদের বাঁচাতে অনলাইনে দেদার ছাড়ে রাশ টানতে চলেছে কেন্দ্র
বছরকয়েক ধরে ভারতে চড়চড়িয়ে বাড়ছে ই-কমার্স। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস হোক বা আসবাব, অনলাইনে ছাড়ের অপেক্ষায় বসে থাকেন অনেকেই। মেগাছাড়ে ঘর ভরাতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে শহুরে জনতা। ওদিকে অনলাইনে দাপটে ক্রমশ ক্ষীণকায় হচ্ছেন ছোট ব্যবসায়ীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জলের দরে অনলাইনে কেনাকাটা করার দিন সম্ভবত ফুরাতে চলেছে। অনলাইন সংস্থাগুলির ছাড় দেওয়ার সীমায় লাগাম পরাতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সংবাদসংস্থাকে এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকরা। ছোট খুচরো ব্যবসায়ীদের বাঁচাতে ই-কমার্স বিধিতে ছাড়ের সীমা নির্ধারণের অধিকার নিজের হাতে নিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।
বছরকয়েক ধরে ভারতে চড়চড়িয়ে বাড়ছে ই-কমার্স। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস হোক বা আসবাব, অনলাইনে ছাড়ের অপেক্ষায় বসে থাকেন অনেকেই। মেগাছাড়ে ঘর ভরাতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে শহুরে জনতা। ওদিকে অনলাইনে দাপটে ক্রমশ ক্ষীণকায় হচ্ছেন ছোট ব্যবসায়ীরা। এই নিয়ে কেন্দ্রের কাছে লাগাতার নালিশ জানিয়ে আসছিলেন তাঁরা। অবশেষে তাদের নালিশে পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, ছাড়ের পরিমাণে লাগাম পরিয়ে প্রতিযোগিতা বজায় রাখতে চায় কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে ই-কমার্স নীতি খতিয়ে দেখবেন বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। তাতে অনলাইন সংস্থাগুলি কখন কত ছাড় দিতে পারবে তা নির্ধারণ করতে পারবে কেন্দ্র। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেলের নামে নিজেদের বিক্রি বাড়িয়ে মুনাফা ঘরে তোলে বড় অনলাইন বিপণিগুলি। কিন্তু ছোট ব্যবসায়ীদের পক্ষে কোনও অবস্থাতেই অত কম মুনাফায় জিনিস বিক্রি করা সম্ভব হয় না। ফলে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েন তাঁরা।
উর্জিত প্যাটেলকে ইস্তফা দিতে বলেনি কেন্দ্র, বললেন জেটলি
বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, এছাড়া কোনও ই-কমার্স সংস্থার বিলয় হলেও নতুন নীতিতে জানাতে হবে কেন্দ্রকে। বিদেশে যদিও কোনও সংস্থার বিলয় এদেশে তাদের বাণিজ্যে প্রভাব ফেলে তাও জানাতে হবে কেন্দ্রকে।