নিজস্ব প্রতিবেদন: সনিয়া গান্ধীর জামাতা রবার্ট বঢ়রার ব্যবসায়িক সহযোগীদের কয়েকটি অফিসে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেকটরেট বা ইডি। প্রায় ১৬ ঘণ্টা ধরে চলে ইডি তল্লাশি অভিযান। ইডি সূত্রের খবর, তল্লাশিতে বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ মিলেছে, যা অঘোষিত সম্পত্তির হদিশ দিতে পারে। শোনা যাচ্ছে, ব্রিটেনের লন্ডন ও ভারতের একাধিক শহরে ছড়িয়ে রয়েছে রবার্ট বঢ়রার সাম্রাজ্য। তাঁর সম্পত্তির হদিশ পেতে এবার জোরদার তদন্ত শুরু করেছে ইডি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তিতে যোগ ছিল  বঢ়রার সহযোগীদের। নিজের রাজনৈতিক যোগের প্রভাব খাটিয়ে সেই সব চুক্তিতে সহযোগীদের সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন সনিয়ার জামাতা। যাঁদের অফিস ও বাড়িতে তল্লাশি চলেছে, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোটা টাকা পাঠাতেন প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের সরবরাহকারীরা। এর প্রমাণও পেয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। 


স্কাইলাইট হসপিটালিটি কোম্পানির আইনজীবী নভরোজের অভিযোগ, দিল্লির সুখদেব বিহারে সংস্থার অফিসে দরজা ভেঙে ঢোকেন তদন্তকারীরা। এরপর টানা ১৪-১৫ ঘণ্টা ধরে চলে জেরা। এমনকি দরজার কাছে থাকা নজরদারি ক্যামেরা ইডির আধিকারিকরা ভেঙে দিয়েছেন বলেও তাঁর অভিযোগ। অফিসেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে তাঁর দাবি। 


উল্লেখ্য, গুরুগ্রামে জমি কেলেঙ্কারি নিয়ে এফআইআর রুজু হয় প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে। অভিযোগ জমি ক্রয় বিক্রয়ে অনিয়ম রয়েছে। ইডির দাবি প্রায় ৭০ একর জমি কেনা হয়েছিল ৭২ লাখ টাকায়। এবং সেই জমিতে লাভ হয় প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা।  অভিযোগ এই হাতবদলে প্রশাসনিক কর্তারাও জড়িত।


ভঢ়রার অবশ্য দাবি, নির্বাচনী মরশুমে আসল সমস্যা থেকে মানুষের নজর ঘোরাতে এই সব করা হচ্ছে। রবার্ট বঢরার শ্যালক রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতি। রাহুল গান্ধী খোদ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই রাফাল কেলেঙ্কারি নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু করেছেন। এরই মধ্যে ইডি রবার্ট বঢ়রার সংস্থার তিনটি অফিসে হানা দিল।  বঢ়রার আইনজীবী ইডির তল্লাশি অভিযানকে, হিটলারের সময়কালের সঙ্গে তুলনা করেছেন।


আরও পড়ুন- দেবীকে ভয় পেয়ে পুজো করি, বাড়ির 'হোম মিনিস্টার' প্রসঙ্গে ববি