ওয়েব ডেস্ক: একা সিবিআইয়ে রক্ষে নেই, ইডি দোসর! 'যাদব কুলপতি' লালুপ্রসাদের অবস্থা এখন কার্যত তাই। আইআরসিটিসির হোটেল দুর্নীতি মামলায় এবার সিবিআই-এর করা প্রাথমিক তদন্তের উপর ভিত্তি করে পৃথক 'অর্থনৈতিক তছরুপে'র (মানি লন্ডারিং) তদন্ত হাতে নিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা (পড়ুন, বিহারের সদ্য প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা লালু-তনয় তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে) দুর্নীতির অভিযোগকে ইস্যু করে 'ভাবমূর্তি রক্ষার তাগিদে' গতকাল সন্ধ্যাতে মহাগাটবন্ধন ছিন্ন করে মুখ্যমন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন নীতিশ কুমার। আর তারপরই নাটকীয়ভাবে নীতিশের হাত শক্ত করতে এগিয়ে এসেছে পুরানো বন্ধু বিজেপি। পদ্ম সমর্থন নিয়ে আজ সকালেই রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছে গিয়ে পুনরায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন নীতিশ কুমার। আর তারপরই 'প্রত্যাশা মতো' লালুর গলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ফাঁস টাইট করা হয়েছে, মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। নতুন করে ইডি তদন্ত শুরু হওয়া প্রসঙ্গে অবশ্য এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি লালুপ্রসাদ যাদব।


যাদব পরিবারের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?


২০০৬ সালে লালু যখন রেলমন্ত্রী তথন আইআরসিটিসির পুরী ও রাঁচির হোটেল পরিচালনার দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার ঘটনায় দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে সিবিআই। সিবিআই-এর আরও অভিযোগ, ওই বেসরকারি সংস্থার তরফ থেকে পাটনায় তিন একর জমি ঘুষ পাওয়ায় লালু একাজ করেছিলেন। পাটনার সেই জমিতে এখন একটি মল তৈরি হচ্ছে। সিবিআই সূত্রে দাবি, দুর্নীতি রূপায়নে এক ষড়যন্ত্র হয় যার অংশ ছিলেন স্বয়ং লালুপ্রসাদ, সুজাতা হোটেলস কর্তৃপক্ষ (সেই বেসরকারি হোটেল সংস্থা) এবং একটি কোম্পানি যার মালিকানা ছিল লালু ঘণিষ্ঠ আরজেডি সাংসদ প্রেম গুপ্তার স্ত্রী সরলা গুপ্তার হাতে। বলা হচ্ছে, সুজাতা হোটেলসের ডিরেক্টর বিনয় কোচ্ছার প্রথমে ওই প্রিমিয়াম কমার্সিয়াল ল্যান্ডটি (পাটনার সেই তিন একর জমি) সরলা গুপ্তার সংস্থার কাছে হস্তান্তরিত করে। আর তার এক বছর পর সেই জমি লালু-পত্নী রাবড়ি দেবী ও লালু-পুত্র তেজস্বীর নামে লিখে দেওয়া হয়। লালু পরিবারের হাতে যেদিন এই জমির মালিকানা চলে আসে সেদিন থেকেই নাকি ভারতীয় রেলওয়ে তাদের হোটেলগুলি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেসরকারি সংস্থার কাছে লিজে দিতে শুরু করে। আরও অভিযোগ, পুরী ও রাঁচির হোটেলের জন্য যেখানে ১৫টি দরপত্র (টেন্ডার) জমা পড়েছিল, কিন্তু তার কোনও রেকর্ডই নেই এখন। রেকর্ডে রয়েছে কেবল সুজাতা হোটেলস-এর নাম যারা ১৫ বছরের জন্য লিজ পায়। (আরও পড়ুন- "খুনে অভিযুক্ত নীতীশ কুমার", বিস্ফোরক অভিযোগ লালু প্রসাদ যাদবের)