Education Excellence 2022: `এখন টোকাটুকিকে স্বীকৃতির দাবি উঠেছে`, এবার অনলাইন টুকলি নিয়ে মুখ খুললেন ব্রাত্য
রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার বেনজির অবস্থা নিয়ে এবার মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। জি ২৪ ঘণ্টার (Zee 24 Ghanta) Education Excellence 2022 -এর মঞ্চে সোজাসাপটা উত্তর দিলেন ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট বের হওয়ার পর পাসের দাবিতে সরব হয়েছিলেন একদল ছাত্র-ছাত্রী। দিকে দিকে প্রতিবাদ দেখান তাঁরা। এরই মধ্যে জলপাইগুড়ির একটি কলেজের অনলাইন পরীক্ষায় গণ টোকাটুকিরও অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার এই বেনজির অবস্থা নিয়ে এবার মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। জি ২৪ ঘণ্টার (Zee 24 Ghanta) Education Excellence 2022 -এর মঞ্চে সোজাসাপটা উত্তর দিলেন ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।
জি ২৪ ঘণ্টা: দেখা যাচ্ছে অনেকেই অফলাইনে পরীক্ষা দিতে চাইছেন না, অনলাইন টুকলি হচ্ছে। এই অনলাইন টুকলি নিয়ে আপনার কোনও ভাবনা রয়েছে?
ব্রাত্য বসু: টোটাটুকি তো ছিলই। কিন্তু এখন টোকাটুকির একটা স্বীকৃতি করার দাবি উঠেছে। যখন পাশ-ফেল নিয়ে সমস্যা হল তখনই আমি বলেছিলাম, গত দু'বছর কোভিডের কারণে পরীক্ষা হয়নি, ১০০ শতাংশ পাস করে গিয়েছে। এবার অল্প কিছু সংখ্যাক হয়ত উচ্চমাধ্যমিক পাস করতে পারেনি। কিন্তু এটা তো রেওয়াজ হতে পারে না।
জি ২৪ ঘণ্টা: আপনি যখন পরীক্ষা দিয়েছিলেন তখন ৪২, ৪৩ শতাংশ পাস করত। সেটার একটা কৃতিত্ব ছিল। এখন ৯৭ শতাংশ...
ব্রাত্য বসু: এই বিতর্ক শুরু হয় ১৯২১ সালে। তখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আশুতোষ মুখোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, আসন বাড়ানো হবে। ছাত্র বেশি করে নেওয়া হবে। অন্য শিক্ষাবিদরা বললেন, মেধার সঙ্গে আপোস করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় বলেছিল, ছাত্র বাড়ছে, আয় বাড়ছে। এটা নিয়ে একশো বছর আগে তীব্র তর্ক হয়েছিল। সেই তর্ক তো এখনও জারি রয়েছে। কিন্তু আমরা অনলাইন টুকটলির ঘোরতর বিরোধী। আমরা স্বচ্ছতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অফলাইনে পরীক্ষা নেবে।