Karnataka Murder Case: দেহ টুকরো করে ফেলা হয়েছিল বিভিন্ন জায়গায়, আট বছর পর পাকড়াও নিহতের দিদি
Karnataka Murder Case: গোটা ঘটনা সামনে আসে যখন জিগানির একটি ফাঁকা জায়গার একটি ব্যাগে মানুষের দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিস। নিহতের কাছে পাওয়া একটি প্রেসক্রিপশনের সূত্র ধরে ভাগ্যশ্রীর বাড়িতে পৌঁছে যায় পুলিস। সেখানে কাউকে না পেয়ে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভগ্যশ্রীর কারখানায় গিয়ে হাজির হয় পুলিস
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আট বছর পুরনো খুনের রহস্যের কিনারা করে ফেলল পুলিস। ভাইকে খুন করে কুপিয়ে প্লাস্টিকের প্যাকটে ভরে তা বিভিন্ন জায়গায় ফলে আসার ঘটনায় গ্রেফতার করা হল নিহতের দিদিকেই।
আরও পড়ুন-'বাংলা ভাষা বিলুপ্তপ্রায়', বাংলা শিক্ষিকার ছাঁটাইয়ের চিঠিতে লিখল ইংরেজি মাধ্যম স্কুল
ঘটনাটি ২০১৫ সালের। কর্ণাটকের জিগানির বিভিন্ন জায়গা প্লাস্টিকের ক্যারি ব্য়াগে পাওয়া যায় বেশকিছু দেহাংশ। কিন্তু দেহ পাওয়া গেলেও মৃতের মাথা পাওয়া যায়নি। পুলিস হইচই করে তদন্তে নামলেও কোনও কিনারা হয়নি। কিন্তু হাল ছাড়েনি পুলিস। টানা ৮ বছর পর ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হল মৃতের দিদি ভাগ্যশ্রীকে। আট বছর পুলিস রহস্যভেদ করেছে কীভাবে ভাগ্যশ্রী ও তার লিভ ইন পার্টনার ওই যুবকের দেহ টুকরো করে তা বিভিন্ন জায়গায় ফেলে আসে।
কেন খুন? পুলিসের দাবি, ভাগ্যশ্রী ও তার লিভ ইন পার্টনারের সম্পর্কের মধ্যে বাধা হয়ে দাঁডিয়েছিল তার ভাই। ওই খুনের পরই জিগানির ভাড়া ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যায় ভাগ্যশ্রী। পরে তার মহরাষ্ট্রের নাসিকে একসঙ্গে থাকতে শুরু করে। পুলিস তদন্ত প্রায় বন্ধই করে দিয়েছিল। পরে ভাগ্যশ্রী ও তার সঙ্গী কিছু কর্মকাণ্ড চোখে পড়ার পর ফের খোলা হয় ফাইল।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভাগ্যশ্রী সিদাপ্পা পুজারি ও তার সঙ্গী সুপুত্র শঙ্করাপ্পা তালওয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিস। কর্ণাটক থেকে পলিয়ে এসে নাসিকের এক ওষুধ কোম্পানিতে তারা কাজ করত।
পুলিসের দাবি, ভাগ্যশ্রী ও তার ভাই নিঙ্গারাজু সিদাপ্পা পুজারি বেঙ্গালুরুতে এসে জিগানির একটি কারখানায় কাজ শুরু করে। শহরেই একটি ছোট ঘর ভাড়া করে থাকতে শুরু করে তারা। এদিকে আগে থেকে ভাগ্যশ্রীর সম্পর্ক ছিল সুপুত্রুর সঙ্গে। সুপুত্রু তখন বিবাহিত। গোটা বিষয়টি জানতে পেরে তাতে আপত্তি করে ভগ্যশ্রীর ভাই নিঙ্গারাজু। কোনওভাবেই ভাইকে বোঝাতে না পেরে লিভ ইন পার্টনারকে সঙ্গে নিয়ে তাকে খুনই করে ফেলার ছক কষে ফলে ভাগ্যশ্রী। পরিকল্পনা মতো খুনও হয়ে যায়। দেহাংশ ফেলেও আসে ভাগ্যশ্রী ও সুপুত্রু।
গোটা ঘটনা সামনে আসে যখন জিগানির একটি ফাঁকা জায়গার একটি ব্যাগে মানুষের দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিস। নিহতের কাছে পাওয়া একটি প্রেসক্রিপশনের সূত্র ধরে ভাগ্যশ্রীর বাড়িতে পৌঁছে যায় পুলিস। সেখানে কাউকে না পেয়ে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভগ্যশ্রীর কারখানায় গিয়ে হাজির হয় পুলিস। সেখান থেকে ভগ্যশ্রীর ব্যাপারে সব তথ্য সংগ্রহ করে পুলিস।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যায় ভাগ্যশ্রী ও তার লিভ ইন পার্টনার। কোনও খবর না পেলেও হাল ছাড়েনি তারা। শেষপর্যন্ত খবর পাওয়া যায় নাসিকের একটি ওষুধ করাখানায় সুপুত্রু নামে একজন কাজ করে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখে সে কাজ ছেড়ে দিয়েছে। এবার ভাগ্যশ্রী খোঁজ করতে গিয়ে দেখা যায় সেও একটি ওষুধ কারখানায় কাজ করে। তাকে গ্রেফতারের পরই সুপুত্রুর নাগাল পেয়ে যায় পুলিস। জেরায় তারা তাদের অপরাধ কবুল করেছে।