নিজস্ব প্রতিবেদন: পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফায় বুধবার ২ রাজ্যে ভোটের লাইনে দাঁড়াবেন গণদেবতা। বুধবার মিজোরামের ৪০টি আসন ও মধ্য প্রদেশের ২৩০ আসনে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি শেষ। নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে ২ রাজ্যের ব্যাপক পুলিসি আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন। একদিকে গোবলয়ের মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা ধরে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ বিজেপির সামনে তেমনই উত্তর-পূর্বে তাদের শেষ ঠিকানা ধরে রাখার জন্য সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে কংগ্রেস। সকাল ৭টায় শুরু হবে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিনের মধ্যপ্রদেশের ৬৫,০০০ বুথে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে ২,০০০ বুথ চালাবেন মহিলারা। ভোটগ্রহণের দায়িত্ব পালনের জন্য ইতিমধ্যে ৩ লক্ষ সরকারি কর্মী বুথগুলিতে পৌঁছে গিয়েছেন। ১২,০০০ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে মাইক্রো অবজারভার হিসাবে। 


২০০৩ সাল থেকে মধ্য প্রদেশের ক্ষমতায় বিজেপি। এই রাজ্যে কংগ্রেস ও বিজেপির মুখোমুখি লড়াই হতে চলেছে। বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে সামনে রেখে ময়দানে নামলেও সেনাপতির নাম ঘোষণা করতে পারেনি কংগ্রেস। বিজেপির দাবি, অজিত যোগী ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, দু'পক্ষকেই খুশি করতে মধ্য প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণার ঝুঁকি নেয়নি কংগ্রেস। 


আমি পদ চাই না, মানুষের সেবা করে যেতে চাই, পুরুলিয়ায় বললেন মমতা


২৩০ আসনের মধ্য প্রদেশ বিধানসভায় ২০১৩ সালে ১৬৬টি আসন দখল করে বিজেপি। কংগ্রেস পায় ৫৮টি আসন। ৪টি আসন পায় বিএসপি। এবার নির্বাচনের মুখে বিএসপির সঙ্গে কংগ্রেসের জোটের সম্ভাবনা তৈরি হলেও শেষপর্যন্ত তা হয়নি। ফলে একাই ময়দানে নামতে হয়েছে কংগ্রেসকে। ভোটগণনা ১১ ডিসেম্বর। 


ভোট নিয়ে টানটান উত্তেজনা মিজোরামেও। সেখানে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের সঙ্গে জোট করেছে বিজেপি। ৪০ আসনের মিজোরাম বিধানসভায় ভোটের ময়দানে রয়েছেন ২০৯ জন প্রার্থী। এবার ৩৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। যদিও আজ পর্যন্ত সেরাজ্যে কোনও আসন জিততে পারেনি তারা। 


বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা মিজোরামে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। সেরাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছে ১১,০০০ নিরাপত্তারক্ষী। রাজ্যের ১,১৬৪টি ভোটকেন্দ্রে ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছেন ভোটকর্মীরা।