নিজস্ব প্রতিবেদন- করোনার আবহে দেশের প্রথম নির্বাচন। বিহার নির্বাচনের তারিখ ও পর্ব ঘোষণা করতে নেমে নির্বাচন কমিশন জানাল, কতটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। একে তো দেশে রোজই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তার মধ্যে নির্বাচন। ফলে অতিরিক্তি সাবধানতা অবলম্বন না করলে যে সংক্রমণের হার মাত্রা ছাড়াতে পারে তা উল্লেখ করল কমিশন। নির্বাচন কমিশনের প্রধান সুনীল অরোরা জানিয়ে দিলেন, কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষদের জন্যও আলাদা বন্দোবস্ত থাকবে। যাতে তাঁরাও বিনা ঝুঁকিতে ভোট দান করতে পারেন! তিনি আরও জানান, করোনার আবহে ৭০টি দেশ নির্বাচন প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিহার বিধানসভা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করাই এখন সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ কমিশনের সামনে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪৩টি। ৩ দফায় হবে এবার বিহারের নির্বাচন। প্রথম দফায় ২৮ অক্টোবর হবে ভোট গ্রহণ। ১৬ টি জেলায় ৭১ টি নির্বাচন কেন্দ্র নিয়ে হবে প্রথম দফা। ৩১ হাজার পোলিং স্টেশন থাকবে। দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ হবে ৩ নভেম্বর। এই দফায় ১৭ টি জেলায় ৯৪ টি নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। থাকবে ৪২ হাজার পোলিং স্টেশন। ৭ নভেম্বর তৃতীয় দফায় ১৫ টি জেলায় ৭৮ টি নির্বাচনী ক্ষেত্র নিয়ে ভোট গ্রহণ হবে। ভোট পর্বের শেষ দিনের মনোনয়ন হবে ৮ অক্টোবর। এবার ভোটগ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভোট দানের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে। ভোট গ্রহণের শেষ দফায় কোয়ারেন্টাইনে থাকা ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন বলে জানিয়েছে কমিশন।


আরও পড়ুন-  বেঙ্গালুরু হিংসার ঘটনায় NIA-এর জালে মূলচক্রী 'ব্যাঙ্ক রিকভারি এজেন্ট' সইদ সাদ্দিক আলি


কয়েক লাখ পিপিই কিট, মাস্ক, স্যানিটাইজার-এর ব্যবস্থা করবে কমিশন। একাধিক গাইডলাইন মেনে হবে ভোটগ্রহণ। ২৯ নভেম্বর বিহারের বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে। বিহারের পরই যে সমস্ত রাজ্যগুলিতে বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে সেগুলি হল বাংলা, অসম, পদুচেরি ও তামিলনাড়ু। ২০২১-এর ৩০ মে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে। ফলে বিহারের নির্বাচন বাংলার জন্যও ইঙ্গিতবাহী। কারণ আগামী বছর এপ্রিল-মে মাসে বাংলায় ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা। করোনা পরিস্থিতিতে ভোটগ্রহণ পিছিয়ে যাবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। বিহার নির্বাচন যথাসময়ে হলে বাংলাতেও নির্বাচন নির্ধাতির সূচি মেনে হবে বলেই ধরা হচ্ছে। নীতিশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের দখলে থাকা বিহারে এবার রাজনৈতিক পালাবদল হয় কি না তা দেখার জন্যও আগ্রহ রয়েছে অন্য রাজ্যের মানুষের মধ্যে।