ওয়েব ডেস্ক: শেষ দিনে মনোনয়ন জমা দিলেন দুই প্রার্থী। উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর মুখোমুখি বেঙ্কাইয়া নাইডু। অঙ্কের হিসাবে এগিয়ে শাসক জোটের প্রার্থী বেঙ্কাইয়া। তবে, বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে মতাদর্শের লড়াইয়ে নেমেছেন তিনি। বলছেন বিরোধী জোটের প্রার্থী গোপালকৃষ্ণ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবারই ছিল উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মনোনয়ন পেশের শেষ দিন। শেষ দিনে মনোনয়ন জমা দিলেন এনডিএর উপ-রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী বেঙ্কাইয়া নায়ডু এবং ১৮টি বিরোধী দলের প্রার্থী গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। বেঙ্কাইয়ার পাশে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ-লালকৃষ্ণ আডবাণীরা। গোপালকৃষ্ণের পাশে দেখা গেল সোনিয়া গান্ধী-মনমোহন সিং-শরদ যাদবদের।


সোমবার বিজেপি সংসদীয় বোর্ড বেঙ্কাইয়া নায়ডুর নামে সিলমোহর দেয়। রাজনৈতিক মহল মনে করছে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দাকে মনোনীত করার পর দক্ষিণের প্রার্থী বেঙ্কাইয়াকে বেছে নিল বিজেপি। উপরাষ্ট্রপতি পদাধিকারবলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হওয়ায় বেঙ্কাইয়া নায়ডুকে বেছে নিয়ে কৌশলী পদক্ষেপ করল তারা।


সূত্রের খবর, রাজনীতি ছেড়ে সাংবিধানিক পদে বসতে রাজি ছিলেন না বেঙ্কাইয়া। মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর নিজেই সে প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের সামনেই এ দিন রীতিমতো আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বেঙ্কাইয়া।


উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের বাজি বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা গান্ধীজির পৌত্র গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। নাম ঘোষণার পর থেকেই তিনি বারবার বলে আসছিলেন, হার-জিতের কথা না ভেবে মতাদর্শের
লড়াইয়ে নেমেছেন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরও একই সুর শোনা গেল তাঁর গলায়।


রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএর প্রার্থীকে সমর্থন করলেও উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থীকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেডি। যদিও, সংসদের দুই কক্ষে বিজেপি ও তার সহযোগী দলগুলির শক্তির নিরিখে ৭৮৭টি ভোটের মধ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচশো ভোট বেঙ্কাইয়ার খাতায় জমা পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।