ওয়েব ডেস্ক : মৃত্যুর সঙ্গে সম্যক পরিচয় হয়নি তিন বছরের এই হস্তিশাবকের। তাই সে বুঝতেই পারছে না ঘুম থেকে আর কোনওদিনই উঠবে না মা। ওর আশা, মা আবার জেগে উঠবে। আর মায়ের পাশে পাশে হেঁটে ও পৌছে যাবে গভীর জঙ্গলে। তাই ফিরে ফিরে সে চলে আসছে মায়ের কাছে। কখনও কাঁদছে। কখনও বা শুঁড়ের ছোঁয়ায় জাগিয়ে তুলতে চাইছে মাকে। কিন্তু মা যে আর উঠবে না তা বুঝতে নারাজ হস্তিশাবক। মর্মস্পর্শী এ ছবি কোয়েম্বাত্তুরের জঙ্গলের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২৪ ঘণ্টা আগে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৫ বছরের এই হস্তিনীর। কিন্তু বাচ্চার মন তো মানতে চায় না। তাই টানা ২৪ ঘণ্টাই সে রয়েছে মায়ের পাশে। আপ্রাণ চেষ্টা করছে মাকে জাগিয়ে তুলতে। কারণ মা ছাড়া তার যে আর অন্য আশ্রয় নেই। ছেড়ে চলে গেছে দলের অন্যরা। কোথায়ই বা যাবে সে? ঘটনাটা নজরে আসে বনকর্মীদের। হস্তিশাবককে সরাতে আনা হয় কুনকি হাতি। ঘন জঙ্গলে যেখানে পড়ে রয়েছে হস্তিনীর দেহ, সেই পর্যন্ত পৌঁছে যায় কুনকি। তাতেও অবশ্য লাভ হয়নি। মাকে ছেড়ে নড়তে চায়নি হস্তীশাবক। তাড়া খেয়ে একটু দূরে চলে গিয়ে ফের ফিরে এসেছে মায়ের কাছে। অসহায় বনকর্মীরাও। তাঁদেরও ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে কখন মাকে ছেড়ে একেবারে চলে যাবে হস্তিশাবক। এরপরেই হস্তিনীর দেহের ময়না তদন্ত করে তাঁরা জানতে পারেবন মৃত্যুর কারণ। গত ১৫ দিনে কোয়েম্বাত্তুরের জঙ্গলে মৃত্যু হয়েছে ৫ হাতির। হাতি মৃত্যুর কারণ খুঁজতে তদন্তে নেমেছেন বিশেষজ্ঞরা।