নিজস্ব প্রতিবেদন: জম্মু ও কাশ্মীরের বডগামে ফের গুলির লড়াই শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই জঙ্গিদের সঙ্গে লড়ছে নিরাপত্তা বাহিনী। বিশ্বস্ত গোপন সূত্রে খবর জঙ্গি উপস্থিতির খবর মেলার পর থেকেই বডগামের একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চল ঘিরে ফেলে সেখানে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এমনটাই জানিয়েছেন এক পুলিস আধিকারিক। সম্প্রতি পাওয়া খবর অনুযায়ী গুলির লড়াই এখনও চলছে। গত কয়েকদিন ধরেই অশান্ত উপত্যকা। বারবার হতাহতের খবর মিলেছে। জেনে নিন উপত্যকার অতি সম্প্রতি পাঁচটি ঘটনা...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৫ মে,নাইকু নিকেষ :- ছয় মাস ধরে নাইকুকে খুঁজছিল নিরাপত্তা বাহিনী। তাই একবার বাগে পেয়ে তাকে আর রেহাই দেয়নি নিরাপত্তা বাহিনী। ১২ ঘণ্টার অপারেশনে নাইকুকে নিকেষ করেছিল সেনা। ৩৫ বছর বয়সী নাইকুর মাথার দাম ছিল ১২ লাখ টাকা। রাত এগারোটা নাগাদ নাইকুকে নিকেষ করার অপারেশন শুরু করেছিল সেনা। ১২টা থেকে শুরু হয় গুলির লড়াই। সুড়ঙ্গ থেকে নাইকু ছাড়া আরও এক জঙ্গির দেহ মিলেছিল।  



২৮মে, রাজপোরায় "পুলওয়ামা":- রাজপোরায় একটি সন্দেহজনক গাড়ি আটক করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। জানা যায়, ২০ কিলোগ্রাম আইডি ছিল গাড়িতে। পালিয়ে যায় চালক। তবে ২০১৯ সালের পুলওয়ামার মতোই ভয়াবহ ছক ছিল জঙ্গিদের য়া রুখে দেয় নিরাপত্তা বাহিনী।



৩ জুন, এবার হাতে "ফৌজি ভাই":- পুলওয়ামাতে দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াইয়ের পর নিরাপত্তা বাহিনী খতম করেছিল জইশ ই মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনের বিস্ফোরক নির্মাতা আবদুল রহমান অরূপে "ফৌজি ভাইকে।"  কাশ্মীর রেঞ্জের ইনস্পেক্টর জেনারেল বিজয় কুমারের কথা অনুযায়ী, নাইকুর পর দ্বিতীয় বড় সফলতা পেয়েছিল নিরাপত্তাবাহিনী।


৭ জুন, সোপিয়ানে শোরগোল:-  অভিযানে নামার আগে দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ান ও কুলগামে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় রেবানের যোগাযোগ। ধীরে ধীরে বিশেষ একটি বাড়ির দিকে এগোতে থাকে বাহিনী। জঙ্গিদের আস্তানার কাছে যেতেই তারা গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনীও। তাতেই নিহত হয় ওই ৫ জন। সূত্রের খবর, এরা সবাই হিজবুলের সদস্য।



৮ জুন, সোপিয়ানে আরও ৪:- ৭ জুন, রবিবার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত টানা উত্তপ্ত হয়েছিল কাশ্মীরের সোপিয়ান। আগেই ৫ জঙ্গিকে এনকাউন্টারে খতম করেছিল নিরাপত্তাবাহিনী। সোমবার আরও ৪ জন নিহত। সবাই হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্য।
সোমবার সকালে সোপিয়ানের পিঞ্জোরা গ্রামে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। সেখানেই গুলির লড়াইয়ে নিহত হয় ৪ হিজবুল মুজাহিদিন সদস্য। একদিনে সোপিয়ানে নিহত হয়েছিল মোট ৯ জঙ্গি।