নিজস্ব প্রতিবেদন: নিজামুদ্দিন মরকজে জমায়েতের ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল দিল্লি পুলিস। সূত্রের খবর, FIR-এ নাম রয়েছে মরকজের প্রধান মৌলানা সাদ, ডক্তর জীসান, মুফতি শেহজাদ, এম সইফি, ইউনূস, মহম্মদ সলমন ও মহম্মদ আসরাফের। গত ২৮ মার্চ থেকে বেপাত্তা মৌলানা সাদ। তাঁর  খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া জানিয়েছেন, গত ৩৬ ঘণ্টায় নিজামুদ্দিনে মরকজ ভবন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২৩৬১ জনকে। সিসোদিয়া বলেন,''গত ৩৬ ঘণ্টা মিলিত অভিযান চালিয়েছে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ, পুলিস, ডিটিসি ও অন্যান্যরা। ভোর ৪টে পর্যন্ত চলেছে অভিযান। উদ্ধার করা হয়েছে ২৩৬১ জনকে। তাঁদের মধ্যে ৬১৭ জন ভর্তি হাসপাতালে। বাকিদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।''   


 দিল্লির নিজামুদ্দিনে মরকজে  ১৩-১৫ মার্চ সমাবেশ ছিল তবলিঘি জামাতের। সেই সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন বিদেশিরাও। সেখান থেকে ছড়িয়েছে করোনা সংক্রমণ। ২৪ জন আক্রান্ত হওয়ার পর বিষয়টি সামনে আসে। নিজামুদ্দিন থেকে বাংলায় ফিরেছেন অনেকে। নবান্ন জানিয়েছে, দিল্লিতে তবলিঘি জামাতের সমাবেশ থেকে যাঁরা রাজ্যে ফিরেছেন তাঁদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। সবার করোনা পরীক্ষা করা হবে এবং ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইন করা হবে। ২৪ মার্চ রাত ১২টা থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়ে যায় লকডাউন। 


তবলিঘির সমালোচনা করে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি বলেন,''বহু মানুষের জীবন বিপদের মুখে ফেলে দিয়েছে তবলিঘি। সরকারি নির্দেশি লঙ্ঘন করেছে ওরা। এই ধরনের সংগঠনের বিরুদ্ধে কড়া ব্য়বস্থা নেওয়া উচিত।''  নকভির সংযোজন, এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যারা লকডাউন মানছে না, তাদের ক্ষমা করা যায় না। 


আরও পড়ুন- নিজামুদ্দিনে দায়িত্বজ্ঞানহীন তবলিঘি জামাত, প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকাও