নিজস্ব প্রতিবেদন— রাস্তায় গাড়ির ভিড় নেই। পেট্রল, ডিজেলের চড়া গন্ধ উধাও। কল—কারখানা বন্ধ। তাই আকাশে—বাতাসে কালো ধোঁয়া উড়ছে না। দেশজুড়ে লকডাউন। যার জেরে দৃষণের মাত্রা এখন অনেকটাই কম। যত্রতত্র মানুষের উত্পাতও নেই। তাই এই সুযোগে বিস্ময় ছড়াচ্ছে প্রকৃতি। দৃষণের মাত্রা এখন এতটাই কম যে বিহারের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে দেখা যাচ্ছে বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গ। গ্রামবাসীরা ছাদে উঠে দেখতে পাচ্ছেন মাউন্ট এভারেস্ট। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এর আগে পাঞ্জাবের গ্রাম থেকে এভারেস্ট দেখতে পেয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। এবার বিহারের গ্রাম সাক্ষী থাকল এক অদ্ভুত দৃশ্যের। যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, আটের দশকে তাঁদের গ্রাম থেকে এভারেস্টের চূড়া দেখা যেত। তার পর থেকে দূষণের জেরে আর কখনওই সেখান থেকে এভারেস্ট দেখা যায়নি। করোনার জন্য লকডাউনের জেরে আবার সেই পুরনো দৃশ্য চাক্ষুস করতে পারছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামের বয়স্ক নাগরিকরা ডুবছেন নস্টালজিয়ায়। সকালের দিকে আকাশ আরও কিছুটা পরিষ্কার থাকে। সেই সময় স্পষ্ট এভারেস্টের চূড়া দেখা যাচ্ছে সেই গ্রাম থেকে।


আরও পড়ুন—  মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ না থাকলে অপরাধী হিসাবে দেখা হবে!



বিহারের সীতামরহি জেলার সিংহবাহিনী গ্রাম। এখান থেকেই এভারেস্ট দেখা যাচ্ছে। মাউন্ট এভারেস্ট আর এই গ্রামের মধ্যে দূরত্ব কয়েকশো কিলোমিটার। কিন্তু বাতাসে এখন ধূলো—ধোঁয়ার পরিমাণ এতটাই কম যে কয়েকশো কিমি দূরের পর্বতচূড়া দেখা যাচ্ছে পরিষ্কার। গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান ঋতু জয়সওয়াল গ্রাম থেকে এভারেস্টের চূড়ার ছবি তুলে পোস্ট করেছিলেন টুইটারে। তাঁর করা সেই পোস্ট মুহূর্ত ভাইরাল হয়। তিনি লিখেছেন, ''নিজের গ্রাম সিংহবাহিনী থেকে আমরা এভারেস্ট দেখতে পাচ্ছি। প্রকৃতি আবার আগের রূপে ফিরছে। এর আগে বর্ষার মরশুমে কখনও কখনও নেপালের পাহাড় দেখা যেত এখান থেকে। কিন্তু বাড়ির ছাদ থেকে এভারেস্ট দর্শন এই প্রথমবার করলাম।''