ওয়েব ডেস্ক: কাজিরাঙা থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে না তো একশিঙা গন্ডার? ভয়াবহ বন্যা প্রতি বছরই কেড়ে নিচ্ছে বহু প্রাণির প্রাণ। কাজিরাঙায় বন্যায় এ বছর এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৫০টি প্রাণির মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে মারা পড়েছে ১৫টি গন্ডার। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে অশনি সঙ্কেত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুজোর ছুটিতে কাজিরাঙা বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান? জিপে বা হাতির পিঠে চেপে একশিঙা গন্ডার দেখার খুব সাধ? অপূর্ণ সেই সাধ পূরণ নাও হতে পারে। কাজিরাঙায় একশিঙা গন্ডার খুঁজতে খুঁজতে হন্যে হতে পারেন। কারণ একটাই। ভয়াবহ বন্যা।


যে হারে বন্যপশুর প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে মারাত্মক বন্যা, তাতে প্রাণিশূন্য হয়ে যেতে পারে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান। শুধু গন্ডার নয়, হাতি, হরিণ, এমনকী বাঘেরও বেঘোরে প্রাণ যাচ্ছে। ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র। গিলে খাচ্ছে অসমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।


বন্যার বলি ১৫টি গন্ডার। ১টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মৃত্যু। জলে ডুবে মৃত্যু ৪টি হাতির। মারা পড়েছে ১৯৬টি হরিণ। বন্যায় মৃত্যু ১২টি কৃষ্ণসার হরিণের। ২টি বন্য মোষ, ‍১টি সজারুরও প্রাণ গেছে। মাত্র একদিনেই মৃত্যু হয়েছে ২৩৯টি প্রাণির। কাজিরাঙার ২২ শতাংশ অংশ এখনও জলের তলায়।


কাজিরাঙা থেকে উঠে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক পেরিয়ে কার্বি আংলঙের পাহাড়ি এলাকায় পালিয়ে যাচ্ছে বহু প্রাণি। কিন্তু জাতীয় সড়কেও জল। পালাতে গিয়েও মারা পড়ছে বহু প্রাণি। বন দফতর সূত্রে খবর, প্রায় ২০টি গন্ডার কার্বি আংলঙের দিকে পালিয়ে যেতে পেরেছে। কিন্তু জল যদি আরও বাড়তে থাকে, তাহলে কাজিরাঙায় ফেরা তাদের পক্ষে কঠিন হবে।


প্রায় ২৫০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। ১৯৮৮-র বন্যায় সবচেয়ে বেশি প্রাণি মারা যায়। সংখ্যাটা প্রায় ১২০৩টি। কাজিরাঙায় দিন দিন কমছে প্রাণির সংখ্যা। এভাবে চলতে থাকলে গভীর বিপদ আসন্ন। কাজিরাঙা থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে একশিঙা গন্ডার।


মুজফ্ফরনগরে ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্রমশ জোরালো হচ্ছে গাফিলতি তত্ত্ব, রেলমন্ত্রীর কড়া ব্যবস্থায় ছাড় পেলেন না পদস্থ কর্তারাও