নিজস্ব প্রতিবেদন: অবসর নেওয়ার পরও বিস্ফোরক বিচারপতি ক্যুরিয়েন জোসেফ। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বিরুদ্ধে বিচারকাজে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ করলেন বিচারপতি ক্যুরিয়েন। গত ২৯ নভেম্বর অবসর নিয়েছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারকার্য বাইরে থাকে প্রভাব খাটানো হয় বলে সংবাদমাধ্যমের কাছে সোমবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিচারপতি ক্যুরিয়েন। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র ‘রিমোট কন্ট্রোলের’ দ্বারা পরিচালিত হতেন বলে তাঁর অভিযোগ। তবে, এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক দল রয়েছে কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট করেননি তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- কংগ্রেস এখন 'গান্ধী-নেহরু প্রাইভেট ফার্ম' হয়ে গিয়েছে, অভিযোগ অমিত শাহের


কোন কোন বিচারক্ষেত্রে প্রভাব খাটানো হয়েছে প্রশ্ন করা হলে বিচারপতি জোসেফ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এ বিষয়ে মন্তব্য করা সম্ভব নয়। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র গত ২ অক্টোবর অবসর নেন। উল্লেখ্য, চলতি বছরে ১২ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেন শীর্ষ আদালতেরই ৪ বিচারপতি। তাঁদের অভিযোগ ছিল, আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে নিয়ম মানছেন না প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র। মামলার গুরুত্ব অনুযায়ী সঠিকভাবে বন্টন করা হচ্ছে না বলে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তাঁরা। ওই বৈঠকে ছিলেন বিচারপতি ক্যুরিয়েন জোসেফ, বিচারপতি চেলামেশ্বর, বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও বিচারপতি এমবি লাকুর। এ নিয়ে গোটা দেশে তুমুল হইচই শুরু হয়ে যায়। কারণ প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে এভাবে প্রকাশ্যে শীর্ষ আদালতেরই বিচারপতিদের অভিযোগ নজিরবিহীন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


আরও পড়ুন- বুলন্দশহরে গোরক্ষকদের তাণ্ডব, জনতা-পুলিস সংঘর্ষে পুলিসকর্মী-সহ মৃত ২


উল্লেখ্য, বিক্ষুব্ধ বিচারপতিদের মধ্যে এখন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হয়েছেন বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। জুনে অবসর নিয়েছেন বিচারপতি চেলামেশ্বর। রবিবারও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জোসেফকে বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে সরব হওয়া প্রসঙ্গে রবিবার তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চেয়েছিলাম বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্ব সুপ্রিম কোর্ট সঠিক পথে চলছে না। বহু বিষয় আমরা প্রধান বিচারপতির গোচরে আনলেও তিনি তাতে নজর দেননি। ফলে কোনও রাস্তা না দেখতে পেয়ে আমরা তা দেশের নজরে এনেছিলাম।’ ক্যুরিয়েন এদিন আরও বলেন, ‘দেশে দুটি নজরদারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এদের একটি হল সংবাদমাধ্যম। কোনও রাস্তা না দেখতে পেয়ে আমরা ঠিক করেছিলাম গোটা বিষয়টি দেশের মানুষকে জানানো প্রয়োজন। ফলে ঘুমন্ত মালিকের কানের কাছে চিত্কার করার থেকে তাকে কামড়ানোর সিদ্ধান্ত নিই। মনে হয়েছিল দেশের এই প্রতিষ্ঠানটি ঠিকমত চলা উচিত।’