নিজস্ব প্রতিবেদন: তিহাড় জেলে প্রথম রাত কেমন কাটল প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের? সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাতে সেভাবে তাঁর ঘুম হয়নি। সকাল ছ’টার আগেই ঘুম ভেঙে যায় চিদাম্বরমের। জেল নম্বর ৭-এর প্রাঙ্গনে প্রাতঃভ্রমণ সারেন। ওই জেলের পৃথক কক্ষে তাঁকে রাখা হয়েছে। এই একই কক্ষে ১২ দিন কাটিয়েছেন তাঁরই পুত্র কার্তি চিদাম্বরম।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


গতকাল সিবিআই পি চিদাম্বরমকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইনি। এর ফলে তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। সকালে ইডি-র মামলায় আগাম জামিনের আবেদন সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিলে চিদাম্বরমের ইডির হেফাজতে আসার সম্ভবনা প্রবল ছিল। কারণ, ইডির গ্রেফতারে কোনও রক্ষকবচই ছিল না চিদাম্বরমের কাছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এরপরও কেন চিদাম্বরমকে হেফাজতে নিল না ইডি। যেখানে গত কয়েক দিন ধরে হেফাজতে নিতে তত্পর হতে দেখা গিয়েছিল ইডি আধিকারিকদের। কিন্তু বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে কোনও আবেদনই করল না ইডি। তবে, চিদাম্বরমকে জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় কোর্ট চত্বরে ইডির আধিকারিকদের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।


আরও পড়ুন- চন্দ্রযান ২-এর ঐতিহাসিক অবতরণের সময়ের ছবি তুলে পাঠান, দেশবাসীকে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর


চিদাম্বরম সুপ্রিম কোর্ট এবং সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে একাধিকার বার আর্জি জানিয়েছিলেন, তিহাড় জেলে যেতে চান না। তাঁকে ইডি হেফাজতে নিলে কোনও সমস্যা নেই বলেও জানান চিদাম্বরম। এরপরেও এ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে দেখা গেল না ইডিকে। আগামী ১৯ তারিখ পর্যন্ত জেলে থাকবেন তিনি। অর্থাত্ এই প্রথম তাঁর জন্মদিন কাটবে জেলেতেই।  আজ সকালে হাল্কা প্রাতঃরাশ করেছেন চিদাম্বরম। কিছু ধর্মের বই পড়তে দেখা যায় তাঁকে। সংবাদপত্র দেওয়া হয় তাঁর কক্ষে। অন্যান্য বন্দিদের মতো লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারবেন তিনি। জেল কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পৃথক কক্ষ এবং অত্যাধুনিক টয়লেট ছাড়া বাকি সব ক্ষেত্রেই অন্যান্য বন্দিদের মতো সুবিধা পাবেন চিদাম্বরম।