পেট্রোল ও ডিজেলে রেকর্ড পরিমাণে উত্পাদন শুল্ক চাপলো কেন্দ্র, স্বস্তি পেল না আমজনতা
পরোক্ষ কর পর্ষদ এক নির্দেশিকায় জানিয়েছে, পেট্রোলের ক্ষেত্রে লিটার প্রতি ২টাকা উত্পাদন শুল্ক এবং ৮ টাকা রোড শুল্ক বসানো হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: অর্থনীতির মন্দা কাটিয়ে তুলতে ‘সুবর্ণ সুযোগ’ সরকারের কাছে। আর সেটাই ষোলো আনা কাজে লাগানোর চেষ্টা করল কেন্দ্র। মঙ্গলবার সন্ধেয় পেট্রোল এবং ডিজেলে লিটার প্রতি যথাক্রমে ১০ টাকা এবং ১৩ টাকা অতিরিক্ত উত্পাদন শুল্ক বসালো। যা নজিরবিহীন বলে মনে করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপে সরকারের ঘরে অতিরিক্ত ১.৬ লক্ষ কোটি টাকা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কার্যত তলানিতে ঠেকেছে। চাহিদা কম, কিন্তু উত্পাদন বেশি রেখে দেওয়ায় মার্কিন WTI তেলের দর মাইনাসে নেমে যায়। জলের দরে তেল কেনার এমন সুযোগ ভারত হাতছাড়া করছে না। তবে, এতে আমজনতার খুব একটা লাভবান হওয়ার জায়গা নেই। পেট্রোল-ডিজেলের খুচরো দর অপরিবর্তীত রাখা হয়েছে। কম টাকায় তেল কিনে তার উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়ে যতটা কোষাগার ভরা যায় সরকারের এখন একমাত্র লক্ষ্য।
পরোক্ষ কর পর্ষদ এক নির্দেশিকায় জানিয়েছে, পেট্রোলের ক্ষেত্রে লিটার প্রতি ২টাকা উত্পাদন শুল্ক এবং ৮ টাকা রোড শুল্ক বসানো হয়েছে। ডিজেলে লিটার প্রতি ৫টাকা উত্পাদন শুল্ক এবং ৮ টাকা রোড শুল্ক বসানো হয়েছে। অর্থাত্ পেট্রোল এবং ডিজেলে উত্পাদন শুল্ক চাপল যথাক্রমে ৩২.৯৮ টাকা এবং ডিজেলে ৩১.৮৩ টাকা।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে মোদী সরকার আসার পর পেট্রোল এবং ডিজেলে উত্পাদন শুল্ক যথাক্রমে ছিল ৯.৪৮টাকা এবং ৩.৫৬টাকা। গত মার্চে উত্পাদন শুল্ক বৃদ্ধি করে ৩৯ হাজার কোটি টাকা ঘরে তুলেছিল কেন্দ্র। এই মুহূর্তে দিল্লিতে লিটার প্রতি পেট্রোল ৭১.২৬ টাকা এবং ডিজেল ৬৯.৩৯ টাকা দাম রয়েছে।