ওয়েব ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা থেকে উদ্ধার হল মারাত্মক বিস্ফোরক PETN। ঘটনার পিছনে জঙ্গিযোগ আছে বলেই মনে করছে রাজ্য সরকার। বিধানসভার নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগে সরব বিরোধীরা। রাজ্যের শাসক-বিরোধী সব দল মিলিতভাবে NIA তদন্ত চেয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গো বলয়ের হৃদয়পুর। দেশের সবচেয়ে বড় বিধানসভা। সেখানেই ঘটে গেল মারাত্মক অঘটন। বুধবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার কর্মীরা বিরোধী দলনেতা রাম গোবিন্দ চৌধুরীর আসনের কাছে কাগজে মোড়া পাউডার দেখতে পান। ফরেনসিক পরীক্ষায় ওই পাউডার আসলে মারাত্মক বিস্ফোরক পেন্টা এরিথ্রিটল টেট্রা নাইট্রেট বা PETN বলে জানা গিয়েছে।


এর আগে বহু নাশকতার ঘটনায় PETN ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে। PETN এক ধরনের শক্তিশালী বিস্ফোরক। জঙ্গিরা বোমার মশলায় ব্যবহার করে। এটিকে সনাক্ত করা খুব কঠিন। এক্স-রে, স্নিফার ডগ-কেও ফাঁকি দিতে পারে এই বিস্ফোরক। সামান্য উত্তাপেই বড় বিস্ফোরণ হয়। ২০১১-এ দিল্লি হাইকোর্টের সামনে এই বিস্ফোরক মেলে।


২০১০-এ ইয়েমেন থেকে আমেরিকাগামী বিমানেও PETN পাওয়া যায়। ২০০১-এ মার্কিন বিমানে শু বম্বার রিচার্ড রেড-এর কাছে মেলে এই বিস্ফোরক।


বিধানসভায় বিস্ফোরক মেলার পর জরুরি বৈঠকে বসেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। পরে, বিধানসভায় তিনি বলেন, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ৫০০ গ্রাম PETN গোটা বিধানসভা চত্বর উড়িয়ে দিতে পারে। ঘটনায় জঙ্গিদের ষড়যন্ত্র রয়েছে। অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভার নিরাপত্তায় এই গাফিলতি খুবই মারাত্মক।


বিধানসভার সব কর্মীদের পুলিস ভেরিফিকেশনের ওপরও জোর দেন যোগী আদিত্যনাথ। স্পিকারের নির্দেশে বিধানসভার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আরও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে দেহ তল্লাশির ব্যবস্থা। এদিনই উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া থেকে ফারহান আহমেদ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। স্বাধীনতা দিবসে সে বিধানসভা উড়িয়ে দেওয়ার ছক কষছিল বলে দাবি পুলিসের। (আরও পড়ুন-বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাখ টাকার আংটি নিয়ে বেপাত্তা যুবক)