ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যের ঋণের ওপর সুদ মকুব, কেন্দ্রীয় অনুদানের পরিমাণ বৃদ্ধি, কেন্দ্র-রাজ্য কর কাঠামো পুনর্বিন্যাস সহ একগুচ্ছ দাবি-দাওয়া। এনিয়েই মুখোমুখি হচ্ছেন মোদী-মমতা। সৌজন্যে, ১৬ জুলাই আন্তঃরাজ্য কাউন্সিলের মিটিং। এজেন্ডায় রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী ওয়ান টু ওয়ান বৈঠকও।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকে এবার দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণত কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকে কোনও মন্ত্রী বা আমলাকে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। অতীতে এমনই নজির রয়েছে। তবে এবার আন্তঃরাজ্য কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দিতে নিজেই যাচ্ছেন তিনি।


প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে হতে চলা এই বৈঠকের এজেন্ডা আগেই ঠিক করা। কথা হবে, আন্তঃরাজ্য সম্পর্ক, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, SC-STদের ওপর অত্যাচার, স্কুলশিক্ষা, আধার কার্ড সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী। থাকবেন রাজনাথ সিং, অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজ, মনোহর পারিক্কর সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরাও। তবে এই বৈঠকের বাইরেও আলাদা ভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেও আলোচনা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এজন্য রীতিমতো নোট তৈরি করেই যাচ্ছেন তিনি।


রাজ্যকে ঋণের ওপর যে সুদ দিতে হচ্ছে, তা মকুব করার দাবি ফের প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলবেন মুখ্যমন্ত্রী। গতবছর মার্চেও মোদীর সঙ্গে দেখা করে সুদ মকুবের দাবি জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কাজ হয়নি। ২০১১-এ তৃণমূল যখন ক্ষমতায় আসে তখন রাজ্যের কাঁধে ঋণের বোঝা ছিল ১ লক্ষ কোটি টাকা। সেই ঋণের অঙ্ক এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা।


মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, শুধু এই ঋণের ওপর সুদ দিতে গিয়েই নতুন করে বারবার ঋণ নিতে হচ্ছে রাজ্যকে। ঋণের জালে জড়িয়ে যাচ্ছে রাজ্য। ব্যহত হচ্ছে উন্নয়ন। তাঁর দাবি, আপাতত যেন ঋণের অঙ্ক মকুব করে কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ৬৬টি কেন্দ্রীয় প্রকল্পে হয় কেন্দ্র অনুদান বন্ধ করে দিচ্ছে, নয়ত অনুদানের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। উন্নয়নমূলক কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে কেন্দ্রকে ফের অনুদান বাড়ানোর অনুরোধ জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী।


১০০ দিনের কাজ, ICDS সহ ১১টি কেন্দ্রীয় প্রকল্পে অনুদানের অঙ্ক পুনর্বিন্যাসের আর্জি জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্র-রাজ্য কর কাঠামো পুনর্বিন্যাসের বিষয়টি শুধু আন্তঃরাজ্য কাউন্সিলের বৈঠকেই না, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি কথাতেও তুলবেন মুখ্যমন্ত্রী। করের সিংহভাগটাই কেন্দ্রের কোষাগারে চলে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, এতে রাজ্যের আয় কমছে। যত দ্রুত সম্ভব GST চালুর পক্ষেও রাজ্য আগ্রহী। এই ব্যাপারটিও প্রধানমন্ত্রীকে বলবেন মুখ্যমন্ত্রী।


আধার কার্ডকে কেন্দ্র যেভাবে বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে, তাতে সমস্যার কথাও বৈঠকে তোলা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, রাজ্যে ৮২ শতাংশ মানুষের আধার কার্ড তৈরি। তবে যাদের তৈরি নয়, তাঁদের স্বার্থে আপাতত যেন রাজ্যে আধার বাধ্যতামূলকের বিষয়টি পিছিয়ে দেওয়া হয়। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়টিও কেন্দ্রকে দেখার আর্জি জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী।


এগুলির পাশাপাশি, অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে ফের বিমান চলাচল শুরু করা, কিংবা রাজ্যে সমুদ্র বন্দর গড়ে তোলার কাজে দ্রুততা আনার মতো ইস্যুও প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।