নিজস্ব প্রতিবেদন: চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি সংস্থার হিসেবরক্ষকের কাজ করেন মগেশ কমলাকানন। এবারে দিওয়ালিতে মগেশ ঠিক করেছিলেন স্ত্রীকে সারপ্রাইজ গিফ্ট দেবেন। স্ত্রীর অনেকদিনের আবদার সোনার নেকলেস! সেজন্য স্থানীয় জুয়েলারি দোকানে একটি ‘স্বর্ণ স্কিম’ও করেন। মাসের বেতন থেকে অল্প কিছু সরিয়ে এই স্কিমে টাকা জমাচ্ছিলেন তিনি। যখন শেষ কিস্তি মিটিয়ে মগেশ সেই সোনার নেকলেসটিকে দেখানোর কথা বললে,  জুয়েলারি দোকানের তরফে জানানো হয়, “এখন আউট অব স্টক রয়েছে। ডিসেম্বরে পাবেন।” কিন্তু কথা ছিল কিস্তি শেষ হতেই হাতে পেয়ে যাবেন তাঁর পছন্দ করা গহনাটি! কিন্তু সেদিন কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি দোকানের কর্তৃপক্ষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ডেঙ্গি অপপ্রচার, মুকুল অতীত, দলীয় সভায় স্পষ্ট বার্তা মমতার


শুধু মগেশেই নন, চেন্নাইয়ের বহু মানুষের সঙ্গেই এমন ঘটনা ঘটেছে। নাতেলা নামক অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটি তামিলনাড়ুর অন্যতম পুরনো গয়নার দোকান। তারা  নিজেদেরকে দেউলিয়া ঘোষণা করার পরই তাদের গ্রাহকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায়। এদিকে দেউলিয়া ঘোষণার আগেই গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। অনেকে হাতে চেক পেলেও তা বাউন্স করেছে। পুলিসে অভিযোগ দায়ের হলে নাতেলার একটি শাখার ম্যানেজারকে গ্রেফতার করা হয়।


অবশেষে নাতেলা জুয়েলারির ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রপ্পানা কুমার বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেন, “যে সব গ্রাহক বিনিয়োগ করেছেন, তাঁদেরকে আমরা আশ্বস্ত করছি খুব শীঘ্রই পুরো টাকা ফেরত্ দেওয়া হবে। পরিবার, বন্ধু এমনকি দোকান বেচে গ্রাহকদের টাকা মেটানো হবে।”


আরও পড়ুন- প্রয়াত বিখ্যাত ধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পী গিরিজা দেবী, শোকস্তব্ধ সঙ্গীত মহল


উল্লেখ্য, তামিলনাড়ুর এই জুয়েলারি সংস্থা ৭০ বছর পুরনো। এদের মোট সাতটি ব্র্যাঞ্চ রয়েছে। এই সবকটি ব্র্যাঞ্চই বন্ধ রাখা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়।