নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৭৫ কিলোমিটার ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড়। আর তাতে তছনছ ওডিশা। সকালে জগন্নাথভূমে দাপিয়ে বেড়াল ফণী। মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৮। প্রায় ১২ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অতিশক্তিশালী ঝড় আসার পূর্বাভাস ছিল। কিন্তু শক্তি অনেকটাই হারিয়ে ফেলে ফণী। কিন্তু তাতেও ফণীর গ্রাসে চলে গেল ওডিশার একাংশ। এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এক কিশোর-সহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে পুরীতে। তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে ভূবনেশ্বরে। নয়াগড় মাথায় চাঁই পড়ে মৃত্যু বয়েছে এক মহিলার। কেন্দ্রাপাড়ায় আবার ঘূর্ণিঝড়ের জেরে হৃদ রোগের শিকার হন এক বৃদ্ধা।


১২ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। তাঁদের জন্য করা হয়েছে ত্রাণের ব্যবস্থা। আকাশপথের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে ধ্বংসের ছবি। তবে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে শহরের বিদ্যুত্ পরিষেবা। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের কথায়, ''বিদ্যুত পরিষেবা চালু করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ''। বিদ্যুত্ পরিষেবা সচল করার জন্য যুদ্ধকালীন তত্পরতায় কাজ করছেন ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকরা। 


ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা শুরু করেছে ওডিশা সরকার। তবে তা যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। তবে গোটা ওডিশাজুড়েই এদিন ধ্বংসের ছবি। উপড়ে গিয়েছে গাছ। ভেঙে পড়েছে গৃহনির্মাণের বিশালাকায় ক্রেন। রাস্তার মধ্যে লুটিয়ে পড়েছে বিএসএনএল টাওয়ার। ভূবনেশ্বর স্টেশনের ছাউনি উড়ে গিয়েছে। গোটা স্টেশন লন্ডভন্ড। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ট্রেন পরিষেবা।  তৈথবচ অবস্থা ভূবনেশ্বরের বিজু পট্টনায়েক বিমানবন্দরের। বিমানবন্দরের প্রবেশপথের গেট ভেঙে লুটিয়ে পড়েছে রাস্তায়। সাইনবোর্ড গড়াগড়ি খাচ্ছেন। উপড়ে গিয়েছে গাছ। 


আরও পড়ুন- পুরী তছনছ করলেও জগন্নাথ মন্দিরের গায়ে আঁচড় কাটতে পারল না ফণি