নিজস্ব প্রতিবেদন: কৃষক নেতাদের সঙ্গে আরও একটা বৈঠক নিষ্ফলা। কৃষক নেতারা স্পষ্ট জানতে চেয়েছেন, সরকার কি বিল প্রত্যাহার করবে? হ্যাঁ বা না-তে জবাব দিন। তাঁদের সামনে এ দিন কাজ করেনি সরকারের কোনও ধরনের জারিজুরি। কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বোঝানোর চেষ্টা করেন, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কোনও বদল ঘটছে না। মান্ডি ব্যবস্থাও অক্ষুন্ন থাকছে। কিন্তু কৃষক নেতাদের অনড় অবস্থান দেখে 'সময় ক্রয়' করতে একপ্রকার বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী ৯ ডিসেম্বর ফের বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওই দিন বিকল্প প্রস্তাব দেবে সরকার।                               


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার বিজ্ঞানভবনে কৃষক নেতাদের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর, রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলরা। ওই বৈঠকে কৃষক নেতারা জানিয়ে দেন, তাঁরা সমাধান চান অথবা সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি। তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারই একমাত্র বিকল্প। আইন প্রত্যাহার করছেন, হ্যাঁ বা না? এই পরিস্থিতিতে ৯ ডিসেম্বর কৃষক নেতাদের সঙ্গে ফের বৈঠক ডাকতে বাধ্য হল সরকার। কৃষি আইনগুলি প্রত্যাহার না করে বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে আগামী বৈঠকে।  


তবে সরকারের কাছে আর কোনও উপায় নেই বলে মনে করেন কৃষক নেতারা। তেমন ইঙ্গিত দিয়ে অল ইন্ডিয়া কিষান সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা বলেন,'বৈঠকের শুরুতেই আমরা বলেছি, আইনগুলি প্রত্যাহার করুন। কোনও সংশোধন চাই না। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। ৯ ডিসেম্বর আগামী বৈঠক। মনে হচ্ছে, সরকার কৃষি আইনগুলি প্রত্যাহার করবে।'               
    



বৈঠকের পর কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার আরও একবার দাবি করেন, 'ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। এটা ভিত্তিহীন। সরকার সংশয় নিরসনে তৈরি। রাজ্যে মান্ডি ব্যবস্থাও প্রভাবিত হবে না। মান্ডিগুলির ক্ষমতা বাড়াতে রাজি। এনিয়ে কারও শঙ্কা থাকলে ব্যাখ্যা দিতেও পারে সরকার।'              


 




কোভিড পরিস্থিতি ও শীতের রাতে বয়স্ক ও শিশুদের বিক্ষোভস্থল থেকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার আবেদনও করেন কৃষিমন্ত্রী। তাঁর কথায়,'কৃষকদের স্বার্থরক্ষায় বদ্ধপরিকর মোদী সরকার। ভরসা রাখুন।'   





মঙ্গলবার দেশজুড়ে বনধ ডেকেছে কৃষক সংগঠনগুলি। তারা জানিয়েছে,ওই দিন হাইওয়ের টোলগুলির দখল নেবেন কৃষকরা। সরকারকে টোল সংগ্রহ করতে দেওয়া হবে না। 


আরও পড়ুন- ছবি: ত্রিভূজ আকারে নতুন সংসদ ভবন, ১০ ডিসেম্বর ভূমিপূজন মোদীর